অসমে হিন্দু বাঙালি শরণার্থীরা কেমন আছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু দেশের অন্যান্য রাজ্যে হিন্দু বাঙালি শরণার্থীরা ভালো আছেন এ কথাও জোর গলায় বলা যায় না। আসুন দেখে নেওয়া যাক উত্তরাখণ্ডে বিগত ৬০ বছর ধরে বসবাস করা হিন্দু বাঙালিরা কেমন আছেন।
উত্তরাখণ্ডে ৪.৫ লক্ষ হিন্দু বাঙালিদের মধ্যে রয়েছেন নমঃশূদ্র, পন্ড, মাঝি সম্প্রদায়ের লোকজন। এখানে অভিযোগ উঠেছে যে এই সব সম্প্রদায়ের লোকেরা এখানে তফশিলিদের জন্য নির্ধারিত গ্রান্ট পাচ্ছেন না। রাজস্ব বিভাগের তরফ থেকে তাদের ডমিসাইল সার্টিফিকেটও দেওয়া হচ্ছে না। বারবার আবেদন করার পরও এখানে বসবাস করা হিন্দু বাঙালি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব মেলেনি। ৭০ বছর এখানে থাকার পরেও স্কলারশিপ ও কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় পূর্ব পাকিস্থান বা বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করা হচ্ছে ।
এবার তাকানো যাক উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট কেন্দ্রের দিকে। পিলিভিটের সাংসদ মানেকা গান্ধী । পিলিভিট লোকসভা কেন্দ্রে বসবাস করা ৪০ হাজার হিন্দু বাঙালি শরণার্থীর নাম ওঠেনি ভোটার লিস্টে। এখানেও এসসি গ্রান্ট পাচ্ছেনা নমঃশুদ্র ,পন্ড ও মাঝি সম্প্রদায়ের লোকেরা। এখানে আসা হিন্দু বাঙালি শরণার্থীদের পরিবার পিছু ৫ একর জমি মিললেও মালিকানা মেলেনি তাদের। ৭১ সালের পর আসা হিন্দু বাঙালিদের থাকতে দেওয়া হয়েছে চুকা বাঁধ ও সারদা নদীর মাঝে একটি স্থানে। যেখানে বন্যা, বৃষ্টি ও ভাঙ্গনের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে তাঁদের । পিতার মৃত্যুর পর ছেলের হাতে জমি হস্তান্তরে বাঁধার সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য মানেকা গান্ধী এখান থেকে পাঁচ বারেরও বেশি সময় ধরে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ।