পাকিস্থানি বায়ুসেনার একটি এফ-১৬ বোমারু বিমান ভূপতিত করতে গিয়ে পাক-ভারত সীমান্তের সীমারেখা অনেকটা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আকাশের অনেকটা ভিতরে এসে পড়েছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন ভর্তমান । এর পরে যা যা হয়েছে তা আজ ইতিহাস।
অভিনন্দনকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, ভারত তথা আন্তর্জতিক মহলের তীব্র চাপের মুখে পড়ে, আভিনন্দনকে ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে পাকিস্থান। সেই অনুযায়ী আজ বিকেল ৪ টা নাগাদ ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসার কথা অভিনন্দনের । উল্লেখ্য ওয়াঘা সীমান্তে অভিনন্দনকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত হয়েছে অভিনন্দের অনুরাগীরা ।ভারতীয় জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে, ভারত ও অভিনন্দনের জয়ধ্বনি দিতে দিতে অভিনন্দনের জন্য ওয়াঘা সীমান্তে অপেক্ষা করছেন তারা ।
অবশ্য এতটা সহজে খোলেনি অভিনন্দনের মুক্তির পথ । ভারতীয়রা অভিনন্দন কে জাতীয় নায়কের মতো মর্যাদা দিলেও, পাকিস্থানের চোখে তার মর্যাদা একজন শত্রু সেনার চেয়ে বেশী ছিল না । তাই অভিনন্দনকে নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরণের গুজব ছড়িয়েছে যার বেশীর ভাগই ছিল, আতঙ্কিত করার মতো । কিন্তু পাকডেরায় থাকাকালীন অভিনন্দনের যেসব ভিডিও প্রচারিত হয়েছে, তাতে অভিনন্দনের মুখে কখনো দেখা যায়নি আতঙ্কের ছাপ ।
এদিকে অভিনন্দনকে পাক কব্জায় দেখার পর থেকেই তার বিনা শর্তে তার মুক্তির দাবি তুলেছিলো ভারত । অভিনন্দনকে যাতে শারীরিক নির্যাতন করা না হয় তার প্রতিও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা হচ্ছিলো । একই সঙ্গে ভারতের তরফ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো অভিনন্দনের বিনিময়ে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে আপোষ করা হবে না।
এর পাশাপাশি জেনেভা চুক্তি মতোই অভিনন্দনকে মুক্তি দেবার দাবি আরো জোরালো ভাবে তোলা হয়ে । এদিকে আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্সের সঙ্গে আরব দেশগুলোও ভারতের পাশে দাঁড়ায় ।এই ধরনের চাপের মুখে পড়ে অভিনন্দনকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় পাকিস্থান । তারই ফলে আজ অভিনন্দনের ঘরে ফেরা ।