সাংস্কৃতিক তথা কবির শহর বরাক উপত্যকার শিলচরেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানালো শহরবাসী। চারিদিকে নির্বাচনের হাওয়া বইলেও বাঙালির প্রাণের উৎসবকে বরণ করতে একটুও খামতি রাখতে চাইছেন না।
রবিবার শিলচরে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্রার আগমনে এক জনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল।তার কয়েক ঘণ্টা পরই শহরবাসী ফের নববর্ষ উদযাপনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বলাবাহুল্য, শিলচরেও একের পর এক উৎসবের হাওয়া।
সোমবার সকালে এক শোভাযাত্রার মাধ্যমে বর্ষবরণ উৎসবের সুচনা করা হয়। তবে এদিন কালবৈশাখির ঝড়ে উৎসবের আমেজ কিছুটা হলেও কমে যায়। শিলচর পুরসভা পরিচালিত জাতীয় ব্যায়াম বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শহরের বুকে এদিন প্রায় সকাল সাড়ে ছ’টায় বের হয় এই শোভাযাত্রা। এতে, প্রায় ২০ টির অধিক স্কুলের পড়ুয়ারা অংশ নেয়। পড়ুয়ারা কুচকাওয়াজ করে র্যালিটি সার্কিট হাউস রোড প্রাঙ্গন থেকে, প্রেমতলা, নাজিরপট্টি এবং সেন্ট্রাল রোড হয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে এসে শেষ হয়। সেখানে, প্রথমে পতাকা উত্তোলন করার পাশাপাশি ‘এসো হে বৈশাখ’ গানের মাধ্যমে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে পড়ুয়ারা কুচকাওয়াজ এবং ব্যায়াম প্রর্দশন করে।
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থার পরিচালনায় ছিল নানা স্বাদের অনুষ্ঠানও। নাচে–গানে–কবিতায় বর্ষবরণ উৎসবটি জমজমাট হয়ে পড়ে। তবে, হঠাৎ প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ ধেয়ে আসে কালবৈশাখির ঝড়। এতে, উপস্থিত অতিথি, দর্শক ও পড়ুয়াদের মধ্যে ছুটাছুটি শুরু হয়ে যায়। তবে কোনও হতাহতের খবর নেই। অন্যদিকে, এই প্রচণ্ড ঝড়ের ফলে শহর তথা শহরতলিতে সামান্য ক্ষতিসাধন হয়।
এছাড়াও, এদিন, নাচে–গানে–কবিতা–আলোচনায় বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন কাছাড় জেলা কমিটিও নববর্ষ উদযাপন করে। সন্ধ্যায় ‘বরাক কণ্ঠের’ দ্বারা ও রয়েছে অনুষ্ঠান।