আগামী ৮ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত হাইলাকান্দিতে অনুষ্ঠিত হতে চলছে বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য সংস্কৃতি সম্মেলনের আঠাশ তম দ্বিবার্ষিক কেন্দ্রীয় আধিবেশন। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কাজ চলছে চূড়ান্ত রূপে । সোমবার হাইলাকান্দি বঙ্গ ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করে এই কথা জানান আয়োজক সমিতির সদস্যরা ।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সভাপতি নিতিশ ভট্টাচার্য কে পাশে বসিয়ে অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি সুদর্শন ভট্টাচার্য জানান আগামী ৮ মার্চ সন্ধ্যায় রবীন্দ্র ভবন প্রেক্ষাাাগৃহে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন পশ্চিম বাংলার বিশিষ্ট সাহিত্যক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। এর আগেই সকাল ৮ টায় রবীন্দ্র ভবনে অধিবেশনের পতাকা উত্তোলন করা হবে। এরপর ভাষা শহিদ তর্পণ, সাংস্কৃতিক শোভাযাত্রা। সকাল ১১ টা থেকে শুরু হবে সাংঘটনিক নির্বাচন সভা ও প্রতিনিধি সম্মেলনে। প্রায় ছয়শত প্রতিনিধি এই সভায় অংশগ্রহন করার সম্ভাবনা রয়েছে। তিন দিনের এই সম্মেলন হবে চারটি আলাদা স্থানে। গঠন করা হবে তিনটি মঞ্চ। সাহিত্য মঞ্চের অনুষ্টান হবে ইনডোর স্টেডিয়ামে, লোক মঞ্চের অনুষ্ঠান হবে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ক্রীড়া ময়দানে এবং সংস্কৃতি মঞ্চের অনুষ্ঠান হবে রবীন্দ্র ভবনে এবং চিত্রকলা ও ভাস্কর্যের প্রদর্শনী বঙ্গ ভবনের দ্বিতলে। এছাড়াও বঙ্গ ভবনের সামনে অস্থায়ী ভাবে নির্মান করা হচ্ছে অধিবেশনের কার্যালয়।
৯ মার্চ সকাল ৯ টায় রবীন্দ্র ভবনে শিশু মেলা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর লোক মঞ্চ এবং সাহিত্য মঞ্চের অনুস্টান ও চলবে। দুপুর আড়াইটা থেকে বহু ভাষিক কবি সম্মেলন। বাংলাদেশ থেকে অধ্যাপক শরদিন্দু ভট্টাচার্য ছাড়া ও পশ্চিম বাংলা থেকে বাউল ও সঙ্গীত শিল্পীরা অংশ গ্রহণ করবেন। এছাড়াও বরাক উপত্যকার তিন জেলার শিল্পীরা অংশ গ্রহণ করবেন। ১০ মার্চ প্রকাশ্য অধিবেশনে গুনিজন সংবর্ধনা হবে। ৫ জন কবি সাহিত্যক বিভিন্ন জনের নামাঙ্কিত সম্মাননা প্রদান করা হবে। এছাড়াও এদিন বঙ্গ ভবনে এক সেচ্ছায় রক্তদান শিবির অনুষ্টিত হবে বলে জানান হয়। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিতিশ ভট্টাচার্য্য, সুদর্শন ভট্টাচার্য্য, সন্তোষ মজুমদার, সুকোমল পাল, এ কে পাল, অনিন্দ্য কুমার নাথ প্রমুখ।