দিল্লির নিজামুদ্দিন ঘটনা ভারতের জনগণকে ক্লান্ত করে ছাড়ছে। আশংকায় কাটছে প্রতি দিন-রাত।
বিদেশি পর্যটকরা যখন ভারতে এসেছিলেন, সে সময় বিশ্বের বহু দেশে কোভিড-১৯ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সমস্ত জেনে শুনেও ধর্ম প্রচারকরা ভারতের নিজামুদ্দিন জামাতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে যোগদান করা ৯৬০ জন বিদেশি প্রতিনিধিকে কালো তালিকাভুক্ত করে দিয়েছে ভারত।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, মোট ৬৭টি দেশের ওই ৯৬০ জনের ভারতীয় ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
কী কী শাস্তি দেওয়া হবে তাঁদের?
#৯৬০ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
#ভবিষ্যতে তবলিগ জামাতে অংশগ্রহণ করতে চেয়ে ভিসার আবেদন করলে তাঁদের আর ভিসা দেওয়া হবে না।
#ট্যুরিস্ট ভিসায় কোন ব্যক্তি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন না। তাঁদের ভিসার আইন ভঙ্গের জন্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ভারত সরকার। ফরেনার্স অ্যাক্টের ১৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী ভিসার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
দিল্লির নিজামুদ্দিনে অংশ নিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইটালি, ফ্রান্স, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৩০০ প্রতিনিধি।
ভয়ানক তথ্যটি হলো, সে সব বিদেশি প্রতিনিধি এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা ভারতীয়রা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব মিলিয়ে মোট ৫৫০ জনের শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ কেস এসেছে।
অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, অসমে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ জন। এঁরা প্রত্যেকেই দিল্লির নিজামুদ্দিন ফেরত।
৩৭০ জনের ভিসা বাতিলের কথা জানিয়েছেন , ‘‘ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে তবলিগ জামাতের কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৯৬০ জন বিদেশি প্রতিনিধির ভিসা বাতিল করা হয়েছে।”
উল্লেখযোগ্য যে, মার্চের প্রথম থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত চলেছে নিজামুদ্দিনের তবলিগ জামাতের কর্মকাণ্ড।
কিন্তু এর পরও প্রায় ১০-১২ দিন ধরে মসজিদে অবস্থান করছিলেন দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিরা।