গুয়াহাটিঃ Brazil বিশ্বকাপ জয়ের সময় ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট পান Neymar। জয় দিয়ে Brazilএর বিশ্বকাপ মিশন শুরু হলেও নেইমারের চোট দুশ্চিন্তায় ফেলেছে দলকে। গোল করতে না পারলেও দলটির এমন জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন নেইমার।
বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপে সার্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের ২-০ গোলে জয়ের পর নেইমার বেঞ্চে বসে কাঁদছিলেন এবং পরে ডান পায়ের গোড়ালি ফুলে যাওয়া নিয়ে স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যান। ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার (Rodrigo Lasmar) জানিয়েছেন, নেইমারের গোড়ালি মচকে গেছে।
তিনি জানান- নেইমার পায়ের গোড়ালিতে চোট পাওয়ার পর তাঁকে প্ৰাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়। পায়ে বরফ রাখা হয়। তাঁকে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
দলের তরুণ তুর্কি নেইমারের পায়ের চোট নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তায় কোচ তিতে। তবে তিনি আত্মবিশ্বাসী যে নেইমার বিশ্বকাপে খেলা চালিয়ে যাবেন।
২০১৪ সালে বিশ্বকাপেও Neymar চোট পেয়েছিলেন। ব্রাজিলে ঘরের মাঠে খেলা হয় কলম্বিয়ার বিপক্ষে। কোয়ার্টার ফাইনালে পিঠের চোটের কারণে তাঁর টুর্নামেন্ট শেষ হয়, চোটের কারণে তাঁকে স্ট্রেচারে করে মাঠ থেকে নামতে হয়েছিল। সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হেরে যায় ব্রাজিল।
বৃহস্পতিবার Serbia বিপক্ষে ম্যাচে নয়বার ফাউলের শিকার হন Neymar। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে চোট পান। ৭৯তম মিনিটে তাঁকে বদল করা হয়।
লুসাইল স্টেডিয়ামে (Lusail Stadium) খেলার শেষ মিনিটে ডাক্তাররা চিকিৎসা শুরু করলে নেইমার বেঞ্চে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ডাক্তাররা তার পায়ের চারপাশে আইস প্যাক দেওয়ার সাথে সাথে যন্ত্ৰণায় তিনি তাঁর শার্টটি তার মাথার উপর টেনে নিয়েছিলেন। এমনকি এদিন তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা মতো অবস্থাতে ছিলেন না। ম্যাচ শেষে ব্রাজিলের লকার রুমে নেইমারকে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা যায়। এ সময় তাঁকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল।
শতভাগ ফিট হয়েই Qatar বিশ্বকাপ খেলতে এসেছেন Neymar। সার্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের আক্রমণ তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্বে খেলেছেনও দারুণ। দুটি গোলেই ছিল অবদান। তবে বেশ কয়েকবার সার্ব ডিফেন্ডারদের কড়া ট্যাকলের শিকার হয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে ফাউলের শিকার হয়েছেন ৯ বার।
এর মধ্যে নিকোলা মিলেনকোভিচের হাঁটুর ট্যাকলটি ছিল কড়া। সেই ট্যাকলে ডান পা মচকে যায় Neymarএর। ব্রাজিল ২-০–তে এগিয়ে থাকার সময় কোচ তাঁকে তুলে নেওয়ার সময়ও চোটের তীব্রতা বোঝা যায়নি।
Brazilএর পরের ম্যাচ সোমবার Switzerland বিপক্ষে। চোটে আক্রান্ত Neymar অবশ্য জয়ের পর দলকে অভিনন্দন জানিয়ে Tweet করেছেন। লিখেছেন, ‘কঠিন ম্যাচ। তবে জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দলকে অভিনন্দন। প্রথম পদক্ষেপ শেষ, আর বাকি ৬ ম্যাচ।’
সব মিলিয়ে প্ৰিয় দলের প্ৰাণবন্ত ফুটবলারের পায়ের চোটে চিন্তিত তার ফ্যান ফলোয়ারাও। নেইমার তাড়াতাড়ি ফিট হয়ে উঠুক আশা ফুটবলপ্ৰেমীদের।