নয়াদিল্লি: ১৯ নভেম্বর। বিশ্ব পুরুষ দিবস। বিশ্বব্যাপী লিঙ্গভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রধান উপলক্ষ হিসেবে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়।
তবে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষ দিবসের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু, সে নিয়েও যথেষ্ট আলোচনা হচ্ছে।
তসলিমা নাসরিন লিখেছেন:
“আজকে নাকি পুরুষ দিবস (১৯ নভেম্বর)? কী করতে?
আমি তো জানতাম যারা নির্যাতিত, অত্যাচারিত, উপেক্ষিত, তারা যেন তাদের অধিকারের পক্ষে দাঁড়াবার জন্য একটি দিবস পায়, সে কারণেই দিবস টিবসের চর্চা চলে। সে কারণেই নারী, শিশু, আদিবাসি, পঙ্গু, প্রতিবন্ধী, দরিদ্র, বাবা-মা, শিক্ষক, জীব জন্তু ইত্যাদির জন্য দিবসের আয়োজন করা হয়েছে।
পুরুষ অর্থাৎ লর্ড, কিং, রাজা, বাদশাহ, অত্যাচারী, নির্যাতক, ধর্ষক কী করবে দিবস দিয়ে? দুনিয়ার সব অধিকার তাদের। আরও অধিকার চাই?
পুরুষেরা দল বেঁধে আজ সিদ্ধান্ত নিক, তারা মানুষ হবে, তারা পুরুষতন্ত্রকে জ্যান্ত কবর দেবে। তা না হলে, খুব ভাল করেই জানি, এই পুরুষ দিবস শুধু টক্সিক মাসক্যুলিনিটিকে আরও উস্কে দেওয়ার জন্য।
যদি পুরুষ দিবস পালন করা হয় পুরুষের দম্ভ, চতুরতা, নিষ্ঠুরতা, নির্মমতা, নির্যাতন, নারীবিদ্বেষ নিশ্চিহ্ন করার জন্য, নিদেনপক্ষে কমানোর জন্য, তাহলে এই পুরুষ দিবসকে সভ্য নারী-পুরুষ মেনে নেব, নচেৎ নয়”।