গুয়াহাটিঃ বই পড়া (Book reading) একটি ভালো অভ্যাস। এটি গড়ে তুলতে পারলে এর অনেক উপকারিতা আছে। বিশেষ করে নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস (reading habit) মানুষের চিন্তার গভীরতাকে বাড়ায় এবং কল্পনার জগৎকে বিস্তৃত করে । আর যারা বই পড়তে ভালোবাসেন বছরে তাদের বেশিরভাগের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বই পড়ার লক্ষ্য থাকে। যদিও তা নির্ভর করে সময়ের ওপর।
তবে, একজন পাঠকের ক্ষেত্র বা আগ্রহ যাই হোক না কেন, তার এটি অভ্যাস করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি বই পড়াকে একটি নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করতে চায়, তার জন্য কিছু ব্যবহারিক উপায় আছে।
ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
প্ৰথমেই মনের ভিতরে বই পড়ার ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে। তারপর বই পড়াকে উপভোগ করতে হবে তা না হলে বইয়ে কোনও মতে মনোনিবেশ করা সম্ভব নয়। বই পড়ার অভ্যাস একবার গড়ে তুলতে পারলে তা জীবনযাপনকে প্ৰভাবিত করবে।
কারো কারো জন্য মাসে ২টি করে বছরে ২৪টি বই পড়ার লক্ষ্য (set a goal) হতে পারে। আবার কারো লক্ষ্য হতে পারে ১২টি। তবে, সংখ্যা যাই হোক না কেন একবার পড়ার লক্ষ্য স্থির হলে তারপর সেটিকে আরও ছোট লক্ষ্যে ভাগ করতে হবে।
এর জন্য একটি জার্নাল, নোটপ্যাড বা এক্সেল স্প্রেডশিট রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে প্রতি মাসে বা এমনকি এক বছরের জন্য পড়তে চান এমন বইগুলোর তালিকা (create a reading list) তৈরি করুন। তবে অবশ্যই নিজের পছন্দকে আগে গুরুত্ব দিতে হবে।
একটি পড়ার প্যাটার্ন তৈরি করতে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক পৃষ্ঠা পড়ার লক্ষ্য স্থির করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০-২০ পৃষ্ঠা পড়তে পারেন। বিশেষ করে যদি আপনার ব্যস্ত সময়সূচী থাকে। তাহলে এই প্রক্রিয়াটি আপনাকে পড়ায় মনোনিবেশ করতে সহায়তা করবে।
বর্তমানে মোবাইল অ্যাপস (Mobile App), ট্যাবলেট, নিউজ এগ্রিগেটর, ইবুক রিডার (E-book reader) এবং অন্যান্য অনলাইন (Online) গেজেটে রয়েছে। Digital বিশ্বে বেশিরভাগ মানুষ এগুলো পছন্দ করেন। তবে, আপনার জন্য কোন মাধ্যম সবচেয়ে ভাল হবে তা আপনাকেই নির্ধারণ করতে হবে।
প্রতিদিনের পাশাপাশি সপ্তাহের একটি দিনকেও বেছে নিতে পারলে আরও তাড়াতাড়ি বেশি বই পড়ে ফেলা যায়। বিশেষ করে ছুটির দিন। পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে বিষয়টি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।