কলকাতা: রংয়ের উৎসবে মেতে উঠেছে সকলে। বাজারে তুমুল বিকোচ্ছে আবির, রং। একে অপরকে আবির মাখিয়ে দেওয়ার পালা চলবে। সাথে ধর্মীয় রীতিনীতি।
দোল পূর্ণিমায় ‘দোলযাত্রা’ আয়োজিত হয়। আর ‘হোলি’ পালিত হয় তারপর দিন।
দোল এবং হোলির মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, সেটা জানেন তো?
পুরাণ মতে, দোলের দিন শ্রীকৃষ্ণ রাধাকে ফাগে রাঙানোর পাশাপাশি প্রেম প্রস্তাব দিয়েছিলেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনেকে দোলযাত্রাকে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মতিথি হিসাবে ধরে থাকেন। সে অনুযায়ী নবদ্বীপ, মায়াপুরে বিশেষ পূজার্চনার আয়োজন করা হয়। ওড়িশাতেও হয়।
এটা গেল দোল। আর দোলের পরদিন হোলি উদযাপন করা হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনেকে মনে করেন, বিষ্ণুর অংশ হলে শ্রীকৃষ্ণ আর রাজা হিরণ্যকশিপুর ছেলে প্রহ্লাদ। তাকে আগুনে পুড়িয়ে খুনের চেষ্টা করেছিলেন হিরণ্যকশিপুর বোন হোলিকা।
আগুনে ঝাঁপ দেওয়া সত্ত্বেও প্রাণরক্ষা হয় প্রহ্লাদের। আর প্রাণ হারান হোলিকা। তারপর থেকে হোলি উদযাপন করা হয়।
তাই দোল আর হোলির মধ্যে গুলিয়ে ফেলবেন না।