ময়মনসিংহ: ছবি আমরা কম বেশি সবাই তুলি। আমাদের চোখের সামনে যা আসে ভালো লাগলে ক্যামেরাবন্দী করি।
কিন্তু সব ছবিই কি দলিল হয়? সব ছবিই কি অন্তরাত্মা ছুঁয়ে যায়? সব ছবিই কি আমাদের মনের ভাব পাল্টাতে পারে? সব ছবি দেখেই কি আমরা ভুলে যেতে পারি ক্ষণিকের দুঃখকে? পারি না। কারণ সেগুলো শুধু ছবি। তার মধ্যে আবেগ নেই। হয়তো যিনি ছবি তুলেছেন তার মধ্যেও সেই আবেগটা কাজ করেনি।
শিল্প হচ্ছে আবেগ, ভালোবাসা। এর সাথে বুদ্ধির সম্পর্ক আছে যদিও শিল্পের সাথে শিল্পীর ভালোবাসার সম্পর্কটাই আসল।
একজন ছবিয়ালকে প্রথম দ্রষ্টা( যিনি মনের চোখ মেলে দেখতে পারেন) হতে হয়, তারপর হবে তাঁর সৃষ্টি! আর সেই ছবি হবে দলিল।
আসলে ছবি তোলাটা সহজ জিনিস কিন্তু কী তুলবো, কেন তুলবো সেটা কিন্তু সহজ নয়।
ছবি বা আলোকচিত্র সবসময় গণ্য হয় সময়ের দলিল হিসেবে। আজকের ছবি ভবিষ্যতে ইতিহাস হিসেবেই পরিগণিত হবে। মানুষ ২০/৩০/৫০ বছর পর জানবে আজকের দিনটাকে। মনে মনে ছুঁয়ে দেখবে আজকের সময়টাকে। তখন যিনি ছবি দেখবেন তিনি শুধু দেখবেন না, তিনি আজকের সময়টাকে পড়বেন। এভাবে পড়াতে পারেন একজন ছবিয়াল।
একটি ছবি হাজার শব্দের সমান, ছবি হচ্ছে আয়না, যুগের আয়না, রুচির আয়না।
মানুষের মনে শব্দের তুলনায় ছবির প্রভাব অনেকখানি প্রখর।
তেমনই একজন ছবিয়াল বাংলাদেশের ময়মনসিংহের শফিকুল ইসলাম মুহাম্মদ। তাঁর ক্যামেরায় তোলা এক একটা ছবি একটা একটা গোটা দলিল।
শশীলজের ছবি, ভিডিওগুলো দেখার মতো। এর আলাদা ইতিহাস আছে। এছাড়াও আরো প্রচুর ছবি আছে, যেগুলো মন কাড়া।
বাংলার বিখ্যাত মহারাজা শশীকান্ত আচার্য্যের পরিবার বাংলা বিহার উড়িষ্যার নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ এর আমলে প্রথম জমিদারী লাভ করে এবং তারা মুক্তাগাছাকে কেন্দ্র করে জমিদারী পরিচালনা করতে থাকে। ক্রমান্বয়ে আঠারশ শতকে মহারাজা মুক্তাগাছার বাহিরে বর্তমান টিচার্স ট্রেনিং কলেজের স্থলে রাজবাড়ী তৈরী করেন, যা স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন হিসেবে এখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত এ রাজবাড়ীর প্রতিটি ইঞ্চিতে ছড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য্য নাম দিয়েছিলেন শশী লজ।