বাংলা সিনেমা জগৎ পর পর দর্শককে নতুনের আবর্তে নিয়ে যাচ্ছে। একের পর এক চমক দিয়ে চলেছে। বাংলা সিনেমা আর গণ্ডীতে আবদ্ধ হয়ে নেই। ঘরের হৃদয় জয় করে ছড়িয়ে পড়ছে বাইরে। চলতি বছরে পৃথা চক্রবর্তির ‘মুখার্জি দা’র বউ’ এর রিমেক হতে চলেছে ওড়িয়া ভাষায়।
বিয়ের পর বাড়ির বউয়ের আলাদা কোন পরিচয়, নিজস্বতা বলে কিছু থাকে কি ? নিজেকে নিজের করে বউরা পরিচয় দিতে পারেন না, তাকে পরিচিত হতে হয় অমুকের বউ, তমুকের বউমা হিসেবে। লঘু দৃষ্টিতে এটা তেমন সমস্যাই নয়, যুগে যুগে এই হাওয়া চলে আসছে। এটা নিয়ে কে আর মাথা ঘামায়? আদতে কিন্তু সমস্যাটা গভীর। আর এই বিন্দু থেকেই সিন্ধু হয়েছে পৃথা চক্রবর্তির প্রথম সিনেমা ‘মুখার্জি দা’র বউ।
গল্পে বউ এর প্রতি অলক্ষ্মী, ন্যাকা, মুখরা, বাঙাল উপমাগুলো শাশুড়িমার মুখে মুখে। এদিকে বউমা শাশুড়িকে নিয়ে একটাও ভাল শব্দ লিখতে পারলেন না। ৮ মার্চ মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শক লুফে নেয় এই ছবি। অভিনয় করেছেন বিখ্যাত সব কলাকুশলিরা। অনসূয়া মজুমদার থেকে শুরু করে কনীনিকা ব্যানার্জি, বিশ্বনাথ বসু, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত , বাদশা মৈত্রের মতো শিল্পী।
মুক্তির ১৫ দিন পরই ২৪-২৫-২৬ মার্চ ‘হায়েস্ট গ্রসিং বেংগলি মুভি ইন কলকাতা ইন লাস্ট টোয়েন্টি ফোর আওয়ার’ এর তকমায় ভূষিত হয় ‘মুখার্জি দা’র বউ’।
বাংলার মনে ছাপ রাখার পর এবার প্রযোজক অক্ষয়কুমার পারিজার হাত ধরে প্রতিবেশি রাজ্য উড়িশ্যায় পুনর্নির্মাণ হতে চলেছে ‘মুখার্জি দা’র বউ’।
প্রযোজক অক্ষয়কুমার জানিয়েছেন যে শাশুড়ি – বউমার শ্বাশ্বত সম্পর্কের ওপর গঠিত এই সিনেমা একটা পথপ্রদর্শকের দারুণ ভূমিকা পালন করেছে। ‘মুখার্জি দা’র বউ’ এর পরিচালক ও প্রযোজক যথাক্রমে নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখার্জিকে অক্ষয় বাবু কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন সিনেমাটি রিমেক করার অনুমতি দেওয়ার জন্যে। তাঁর একান্ত বিশ্বাস বাংলার মতো উড়িশ্যার দর্শকও ছবির কোণায় কোণায় সমান ভালোবাসা ভরিয়ে দেবেন।