রমা দাশগুপ্ত নয়। আপামর বাঙালির মনে উনি আছেন, থাকবেন সুচিত্রা সেন হয়ে। চিরঅমর; খ্যাতিসম্পন্ন; স্বনামধন্য বঙ্গবিভূষিতা সুচিত্রা সেনের আজ ৬ষ্ঠ তম প্রয়াণ দিবস।
২০১৪ সালের আজকের দিনটিতে অনুরাগীদের চোখের জলে ভাসিয়ে চলে গিয়েছিলেন না ফেরার দেশে!
এদিন তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের প্রয়াণ দিবসে জানাই প্রণাম ও শ্রদ্ধা। ২০১২ সালে ওনাকে 'বঙ্গ বিভূষণ' সম্মানে ভূষিত করেছিল বাংলার সরকার। শেষের কদিন ওনাকে সামনে থেকে দেখা ও কথা বলার অনেক সুযোগ হয়েছিল। আজ মুনমুন, রাইমা ও রিয়ার কথা খুব মনে পড়ছে
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) January 17, 2020
কিংবদন্তী অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের নাতনি অভিনেত্রী রাইমা সেন দিদিমার লেজেণ্ড ছবিগুলো শেয়ার করে খুবই নস্টালজিক হয়ে পড়েন।
Miss you❤ pic.twitter.com/lTNjue0C47
— raima sen (@raimasen) January 17, 2020
পাবনার মেয়ে সুচিত্রা সেনের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন, স্মরণ পদযাত্রা, আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ বহু কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
সুচিত্রা সেনের শৈশব-কৈশোরের একটি অংশ কেটেছে পাবনা শহরের গোপালপুর এলাকার হেমসাগর লেনের পৈতৃক বাড়িতে।
দেশ ভাগের আগে নায়িকা সুচিত্রার বাবা করুণাময় দাসগুপ্ত সপরিবারে কলকাতায় চলে আসেন।
দীর্ঘ কয়েক বছর পর ইমাম গাযযালী ট্রাস্ট বাড়িটি লিজ নিয়ে ইমাম গাযযালী ইনস্টিটিউট গড়ে তোলে।
উল্লেখযোগ্য যে, ২০০৯ সালে পাবনার সাংস্কৃতিক কর্মীরা সেই বাড়িটির লিজ বাতিল করে সেখানে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা বা ফিল্ম ইনস্টিটিউট করার দাবিতে আন্দোলনে নামে।
৫ বছর পর অর্থাৎ ২০১৪ সালে উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন বাড়িটি দখলে নেয়। এরপরই বাড়িটিতে খুব সামান্য পরিসরে গড়ে তোলা হয় সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা।