নয়াদিল্লি: তসলিমা নাসরিন এবার চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে মুখ খুললেন। চঞ্চল চৌধুরী গানের শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পায়ে ধরে প্রণাম করেছেন। বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না তসলিমা। সেখানে শেখ রেহানা থেকে শুরু করে অনেক নায়ক নায়িকাই ছিলেন।
তসলিমা লিখেছেন:
একটা ভিডিওতে দেখলাম অর্ধবৃত্তাকারে নামী দামী মানুষদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে চঞ্চল চৌধুরী ভূপেন হাজারিকার একটা জনপ্রিয় গান গাইছেন। খুব সুন্দর গেয়েছেন। খুবই ভাল লেগেছে তাঁর গান।
কিন্তু যেটা ভাল লাগেনি সেটা হলো,গান শেষ হতে না হতেই বলা নেই কওয়া নেই তিনি আভূমি নত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন। কেন করলেন? শেখ হাসিনা কি সত্যিই অত শ্রদ্ধার যোগ্য?
আজও তিনি সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম বাতিল করে সেক্যুলারিজম আনেননি।ইচ্ছে করলেই পারতেন, করেননি। চঞ্চল চৌধুরীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বানিয়ে রেখেছেন।
ইচ্ছে করলেই তিনি হিন্দুদের ওপর যে অত্যাচার হয়, তা বন্ধ করতে পারেন, কিন্তু করেন না। যে লেখক হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদ করে লজ্জা লিখেছেন, সেই লেখককে তিনি দেশে ঢুকতে দেন না, তার ওপর তাঁর পুরস্কারপ্রাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘আমার মেয়েবেলা’ নিষিদ্ধ করেছেন।
যে প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্র মানেন না, ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকেন, নিজের ছাড়া অন্য কারও বাক স্বাধীনতা মানেন না, যিনি সম্প্রতি তাঁর অযোগ্য কন্যাকে বিরাট লবিং করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ এশিয়া শাখার ডিরেক্টর বানিয়েছেন, দুর্নীতি করতে করতে যাঁর দল আকাশ ছুঁয়েছে, যাঁর আমলে মসজিদ মাদ্রাসায় ছেয়ে গেছে দেশ, হিজাব বোরখায় ভরে গেছে দেশ, যিনি নারীবিদ্বেষী এবং হিন্দুবিদ্বেষী মোল্লা শফির কাছে মাথা নত করেন, যিনি শত শত নারীবিদ্বেষী এবং হিন্দুবিদ্বেষী ওয়াজিদের অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছেন ওয়াজ করার, যুবসমাজকে নষ্ট করার, যিনি মাদ্রাসার ডিগ্রিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমমানের করে শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বনাশ করেছেন, এমন মানুষের পায়ের ধুলো মাথায় নেওয়া কি আদৌ উচিত”?