আগামী ৩ মে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ছবি ‘বাঘিনী’। কিন্তু ছবিটির ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই যত বাধ সাধে। একের পর এক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে ছবিটিকে।
কমিশনের তরফে ট্রেলার প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করতেই শুরু হয় বিপত্তি। ছবির মুক্তির দিন পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কমিশনকে একটি চিঠি পাঠায়। তার কোনও উত্তর না পাওয়ায় শেষে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে ‘বাঘিনী’র নির্মাতারা।
ছবিতে, তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধারণ মেয়ে থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া পর্যন্ত জীবনের নানা কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে এতে। এমনকী সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের মতো গা শিউড়ে উঠা ঘটনাও রয়েছে সেই ছবিতে। মমতার রাইটার্স বিল্ডিংয়ে আক্রান্ত হওয়ার সেই বিখ্যাত ঘটনাও রয়েছে।
কিন্তু নির্মাতাদের তরফে দাবি করা হয়, ছবিটি একেবারেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বায়োপিক নয়। বরং তাঁর জীবন থেকে অনুপ্রাণিত।
কিন্তু একথা মানতে রাজি হয়নি বিরোধীরা। সিপিএম ও বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয় ‘বাঘিনী’ ছবিটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে। ফলে ভোটের মরশুমে এই ছবি বা ট্রেলার ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে। ট্রেলার মুক্তির পরই অভিযোগ ওঠে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের।
এর ফলস্বরূপ, কমিশনের তরফে ‘বাঘিনী’র ট্রেলারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এমকী যে সব সাইটে ছবিটির ট্রেলার প্রকাশিত হয় সেগুলি থেকে বিশেষ নোটিস পাঠানো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কমিশনের তরফে। এসব ঘটনার ফলে ছবির মুক্তি নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা।
ট্রেলারে নিষেধাজ্ঞা জারির পর কমিশনের নির্দেশিকা মেনেই লোকসভা নির্বাচনের পরে ছবিটি মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় নির্মাতারা। এই মর্মে নির্বাচন কমিশনে চিঠিও পাঠানো হয়। সেইসঙ্গে কমিশনের সঙ্গে আলোচনার জন্য সময় চেয়ে আবেদন জানান তাঁরা। অভিযোগ, কমিশন সেই চিঠির কোনও উত্তর দেয়নি।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শুক্রবার মুক্তি পাওয়ার কথা ‘বাঘিনী’র।
কিন্তু, এখনও ছবি মুক্তির দিন নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই নির্মাতাদের কাছে। তাই, নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে ‘বাঘিনী’র নির্মাতারা। এদিন কমিশন ও টিম ‘বাঘিনী’ বৈঠকের পরই স্পষ্ট হবে ছবি মুক্তির ভবিষ্যৎ।