এবার রূপালি পর্দার সঙ্গে পরিচয় হতে চলেছে ‘প্রফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু’র। প্রফেসরের সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটবে দর্শকদের। সৌজন্যে পরিচালক সন্দীপ রায়।
ছবির নাম ‘প্রফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো’। সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে মুক্তি পেয়েছে এর মোশন পোস্টার।
‘প্রফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু’ সত্যজিৎ রায়ের অন্যতম সৃষ্টি এক আত্মভোলা বৈজ্ঞানিক।
ফেলুদাকে পর্দায় এনে দর্শকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন মানিকবাবু স্বয়ং। সত্যজিৎ রায় পরবর্তী সময়ে, ছেলে সন্দীপ রায় ফেলুদাকে নিয়ে যাত্রা এগিয়েছেন। বাংলা ভাষায় তিনিই এখনও নিয়ম করে প্রদোষ মিত্তিরকে পর্দায় নিয়ে আসছেন। কিন্তু এবার স্বাদবদল করতে চাইছেন পরিচালক।
সত্যজিৎ রায় লিখেছিলেন, ‘নকুড়বাবু ও এল ডোরাডো’। সেই গল্পের অবলম্বনেই ছবি বানাতে চলেছেন সন্দীপ রায়। সত্যজিতের সৃষ্টি এই নকুড়বাবু চরিত্রটি ভবিষ্যৎদ্রষ্টা। ব্রাজিলের সাও পাওলোতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান প্রফেসর শঙ্কু। কিন্তু শুভাকাঙ্খী নকুড়বাবু জানান, সেখানে তাঁর বিপদ রয়েছে। বিপদ থেকে প্রফেসরকে বাঁচাতে তাঁর সফরসঙ্গী হন নকুড়বাবু। ব্রাজিলে গিয়ে সলোমন ব্লুমগার্টেন নামে এক ব্যক্তির চোখে সোনার খনি ‘এল ডোরাডো’ নিয়ে লালসা দেখতে পান নকুড়বাবু। জানতে পারেন, দক্ষিণ আমেরিকার একাধিক দেশ ঘুরেও এল ডোরাডোর সন্ধান পাননি সলোমান। টাকার লোভে প্রফেসরের সঙ্গী নকুড়বাবু তাঁর সফরসঙ্গী হন। কিন্তু সত্যিই কি প্রফেসরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন ভবিষ্যৎদ্রষ্টা নকুড়বাবু? আর এল ডোরাডো? সোনার শহর কি সত্যিই বর্তমান? নাকি নকুড়বাবুর অলৌকিক শক্তির সাহায্যেই একমাত্র তা বাস্তবে আনা সম্ভব? গল্পের বই যাঁরা পড়েছেন, তাঁদের জানা এই গল্প।
এখন সন্দীপ রায় কীভাবে তাঁকে পর্দায় প্রতিফলিত করবেন, সেটাই দেখার বিষয়।