কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি তথা শর্টফিল্ম তৈরি করে বাংলা সিনেমা জগতে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন তরুণ পরিচালক অর্পণ বসাক।
এবার তিনি প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের একটি ছবি তৈরি করছেন। নাম ‘প্রতিফলন’। ছবির কাহিনিতে রয়েছে স্বপ্নপূরণের গাঁথাচিত্রের পাশাপাশি এক পরিণত প্রেমের চিত্ররূপও।
সুপ্রতিম সাহা প্রোডাকশনসের ব্যানারে নির্মিত এই ছবির মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন সুপ্রতিম সাহা ও নবাগতা সায়ন্তনী দেব। ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি এই ছবির প্রযোজনার দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন সুপ্রতিম।
এর আগে দর্শকরা সুপ্রতিমের অভিনয় দেখেছেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘গুড নাইট সিটি’ ও জি বাংলা সিনেমা অরিজিন্যালসের ছবি ‘গুপি গাএন’-এ। অন্যদিকে মডেলিংয়ের দুনিয়া থেকে প্রতিফলন ছবির হাত ধরে সিনে আঙিনায় পা রাখছেন সায়ন্তনী।
ছবিতে অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন স্বপ্না দেব, বিপাশা ও অন্য শিল্পীরা। ছবির কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক নিজেই। এছাড়াও সঙ্গীত পরিচালনায় রয়েছেন পীযূষ দাস। সিনেমাটোগ্রাফার রাহুল মণ্ডল।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে প্রতিফলন ছবির ফার্স্ট লুক। ছবির মুক্তির ব্যাপারে এখনও জানা যায় নি।
ছবির কাহিনিটি সাজানো হয়েছে এমন ভাবে, একটি গ্রামকে কেন্দ্র করে যেখানকার বাসিন্দারা এখনও পুরনো ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী। এহেন পিছিয়ে পড়া গ্রামের ১৮ বছর বয়সি ছেলে আর্য (সুপ্রতিম), ছোটবেলা থেকেই সে তার মাকে দেখে আসছে গ্রামের বিয়েতে কনে সাজাতে। এই কাজে মাকে সাহায্য করতে করতে কখন এই কাজটিকে ভালবেসে ফেলে আর্য। সে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে মেকআপ আর্টিস্ট হওয়ার। কিন্তু আর্যর বাবা যিনি একজন কৃষক, তিনি মনে করেন কোনও পুরুষের এইরকম মেয়েলি কাজ করা উচিত নয়। বাবার এহেন আপত্তিতে আর্যর সঙ্গে তার বাবার অশান্তির সৃষ্টি হয়। এমনকী আর্যর ইচ্ছার কথা গ্রামে জানাজানি হওয়ার পরে গ্রামের লোকেদেরও চক্ষুশূল হয়ে ওঠে সে। গ্রামের লোকজনও তাকে কথা শোনায়। এমতাবস্থায় আর্যর স্বপ্নপূরণের পথে তার পাশে দাঁড়ায় পাশের গ্রামের এক চুড়ি বিক্রেতা মেয়ে রিমি (সায়ন্তনী)। রিমির সাহচর্যে জীবনে উন্মুক্ত বাতাসের তথা অক্সিজেনের ছোঁয়া পায় আর্য। পরস্পরের পরিপূরক হয়ে ওঠে তারা। আর্য কি পারে আদৌ মেকআপ শিল্পী হয়ে উঠতে? আর্য-রিমির সম্পর্কের পরিণতিই বা কী হয়? উত্তর মিলবে ছবির পর্দায়।