টলিউড অভিনেতা এবং পরিচালক অরিন্দম শীলের ভালো চরিত্রের মুখোশটি এবার জনসমক্ষে খুলে ফেললেন তাঁরই স্ত্রী।
অরিন্দমবাবুর প্রথম স্ত্রী তনুরুচি শীল অভিযোগ এনেছেন, তাঁর সঙ্গে অরিন্দম শীলের আইনী বিচ্ছেদ না হওয়া সত্ত্বেও তিনি বাস করছেন শুক্লা দাসের সঙ্গে। তনুরুচি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আমি অরিন্দম শীলের স্ত্রী। কিন্তু উনি আমার সঙ্গে অন্যায় করেছেন। উনি থাকেন শুক্লা দাসের সঙ্গে। আলিপুর আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা এখনও স্থগিত অবস্থায় রয়েছে।”
৯৩ সালে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয় অরিন্দম শীল এবং তনুরুচির। কিন্তু ২০০৩ সালে অরিন্দম ডিভোর্সের মামলা করেন। সেই মামলা গত বছর খারিজ হয়ে যায়।
তিনি আরো জানালেন, সকলে দেখুক অরিন্দমের আসল ছবি।
দর্শকদের অতি প্রিয় অরিন্দমবাবুর বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তি দখলের অভিযোগও রয়েছে।
বলেন, “অরিন্দম আমাকে সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত করেছে। বেলেঘাটায় আমাদের যৌথ ভাবে কেনা ফ্ল্যাট ছিল। সেটা দখল করে রেখেছে। ও তখন বাম সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিল। সেই জোরে আমাকে তাড়ায়। এখন তৃণমূল কংগ্রেসে গেছে সুবিধা পাবে বলে।”
তনুরুচির পোস্টে প্রত্যেকে তাঁর সাহসিকতার জন্যে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তাঁর বন্ধুরা পাশে রয়েছেন সর্বক্ষণ। এবং এমন ছদ্মবেশী পুরুষদের মুখোশ এভাবেই খুলে দেওয়া উচিৎ বলে জানিয়েছেন তাঁর ফলোয়ার্স, বন্ধুরা।
সম্পত্তি বেদখল প্রসঙ্গে অরিন্দম শীল বলছেন, “কোর্টের বয়ান অনুযায়ী ওই ফ্ল্যাটে আমাদের দুজনেরই মালিকানা রয়েছে। আমি কিনে নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ও কোর্টের দিন ফেল করে। চাইলে আমি কোর্টের সেই কাগজও দেখাতে পারি।”
তবে আর যাই হোক, কয়েকদিন আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের পরিচালক অরিন্দম।
তাঁর অশ্লীল আচরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন অভিনেত্রী রুপঞ্জনা মিত্র। তাঁর অভিযোগ ছিল, “টিভি সিরিজ ‘ভূমিকন্যা’র চিত্রনাট্য পড়ার অছিলায় অরিন্দম তার গায়ে হাত দেন। তিনি বলেন, ‘ফাঁকা অফিসে আমাকে ডাকেন। তার পরেই ওই অসভ্যতামি। সে সময়ে ওর স্ত্রী শুক্লা (শীল) এসে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ওর ভোল বদলে যায়।”
রূপাঞ্জনা মৈত্রের #মিটু অভিযোগের একটি খবর শেয়ার করে ফেসবুকে অভিযোগ করেছিলেন তনুরুচি।
এদিকে অরিন্দমবাবু প্রথম স্ত্রীর অভিযোগ নস্যাৎ করার চেষ্টা করেই বলে ফেললেন, “আমার ব্যক্তিগত জীবন এই প্রসঙ্গে কেন উঠে আসছে জানি না। শুক্লা, মেয়ে সোনিকা আমার সব কিছু, এটুকু বলতে পারি।”