‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’র বায়োপিকের মতোই ‘বাঘিনী’ ছবির মুক্তি হিমঘরে। আগামী ১৯ মে-র আগে মুক্তি পাচ্ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বায়োপিকও। জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো বিরক্ত প্রযোজক পিঙ্কি পাল। তবে, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত টিম ‘বাঘিনী’ মানবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওঠা পর্যন্ত নানা ঘটনাই দেখানো হয়েছে ‘বাঘিনী’র ট্রেলারে। তাতে রয়েছে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের মতো সাড়া জাগানো আন্দোলন। আবার তেমনই দেখানো হয়েছে মমতার মহাকরণের সামনে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও। ট্রেলার মুক্তির পর এই ছবিটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বায়োপিক বলেই দাবি করে বিরোধী বিজেপি এবং সিপিএম নেতৃত্ব।
ছবির ট্রেলারে যাই দেখানো হোক না কেন, ‘বাঘিনী’ কে মুখ্যমন্ত্রীর বায়োপিক বলে মানতে নারাজ নির্মাতারা। বাধ্য হয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে ছবির ট্রেলারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন।
ট্রেলার নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় তড়িঘড়ি ছবি মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় টিম ‘বাঘিনী’। তবে সেই সিদ্ধান্তেও জল ঢালল নির্বাচন কমিশন। আপাতত ১৯ মে পর্যন্ত ছবি মুক্তি সম্ভব নয় বলেই চিঠি দিয়ে প্রযোজক পিঙ্কি পালকে জানিয়েছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে এখনও মুক্তি পায়নি ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল ‘বাঘিনী’র ক্ষেত্রেও।