কলকাতা: সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন অভিনেতা আশিষ বিদ্যার্থী (Ashish Vidyarthi)। তবে আমাদের সমাজ তো পান থেকে চুন খসা দেখলেই রে রে করে ওঠে। অথচ সবার যে একটা আলাদা ভাবনা আছে, ব্যক্তিগত জীবন আছে সেটা মানতে তাঁরা নারাজ। এসব বিষয় নিয়ে খোলামেলা প্রচুর আলোচনা হয়, তবুও মানসিকতার উন্নতি হতে এখনো অনেক দেরি বলেই মনে হয়।

আশিষ বিদ্যার্থী বেশি বয়সে বিয়ে করেছেন এই নিয়ে লোকজনের মাথাব্যথার শেষ নেই। কেউ একথা বলেন না যে দিনশেষে সবার ভালো থাকা দরকার।

এদিকে, বৃহস্পতিবার বিয়ে সেরে শুক্রবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) অভিনেতা আশিষ একটি ভিডিও পোস্ট করলেন। কথা বললেন নিজের ব্যক্তিগত জীবন এবং দুই বিয়ে নিয়ে।

কলকাতায় আশিষ বিদ্যার্থী বিয়ে করেছেন রূপালি বড়ুয়াকে (Rupali Barua)। তিনি অসমের মেয়ে।
ভিডিওয় নিজের প্রথম স্ত্রী পিলু বিদ্যার্থীর (Piloo Vidyarthi) সঙ্গে বিচ্ছেদ ও তারপর রূপালির সঙ্গে আলাপ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানান অভিনেতা।

ভিডিও পোস্টে আশিষ বিদ্যার্থী বলেন, ‘আমরা সকলেই খুশি থাকতে চাই। তাই, প্রায় বছর ২২ আগে পিলুর সঙ্গে আমার আলাপ হয় ও আমাদের বিয়ে হয় এবং সেটা অত্যন্ত ভালভাবে কাটে। আমাদের জীবনে অর্থ আসে, যে এখন ২২ বছর বয়সী। কিন্তু গত দুই বছর ধরে আমি আর পিলু বুঝতে পারছিলাম যে একসঙ্গে আমরা যে সুন্দর ইনিংসটা খেললাম, আমাদের মনে হল আমরা একে অপরের থেকে খানিক আলাদাভাবে ভবিষ্যৎটা দেখি। হ্যাঁ, আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলাম, যে যদি সব ঠিক করে নেওয়া যায়। কিন্তু তারপর বুঝলাম যে একজনকে অন্যজনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ছাড়া এর সমাধান অসম্ভব। এর ফলে আমাদের খুশি নষ্ট হবে। কিন্তু আনন্দই আমরা একমাত্র চাই, তাই না?’
‘আমরা যদি একসঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে হাঁটতে না পারি, তাহলে ভাল আমরা আলাদা পথে হাঁটি কিন্তু সম্পর্ক সুস্থ রাখি’।
আশিষ বিদ্যার্থী বলেন, ‘আমি সেই সময় ৫৫ বছরের ছিলাম, যখন আমি বলি যে আমি ফের বিয়ে করতে চাই। এবং, এভাবেই আমার আলাপ হয় রূপালি বড়ুয়ার সঙ্গে। আমরা চ্যাটিং শুরু করি আর তারপর এক বছর আগে আমরা দেখা করি। একে অপরের প্রতি আকর্ষিত হই এবং মনে করি যে বাকি পথটা আমরা স্বামী ও স্ত্রী হিসেবে হাঁটতে পারি। এভাবেই রূপালি ও আমার বিয়ে হয়। ওঁর বয়স ৫০ এবং আমার ৫৭, ৬০ নয় কিন্তু বয়সে কী আসে যায় বন্ধু। আমরা প্রত্যেকেই খুশি থাকতে পারি। আমাদের বয়স যাই হোক না কেন, তাই না? ফলে আপনাদের সকলকে জানাতে চাই, সম্মানের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়াই ভাল।’