এই যে নারী(Woman), মনে রেখো, তুমি আর পাঁচটা মানুষের মতোই রক্ত মাংসের মানুষ। তোমাকে সর্বংসহা হওয়ার দরকার নেই। যেটা ভালো লাগে সেটাই করো তুমি। তোমার প্ৰাণ যা চায় তাই করো। সমাজের বেঁধে দেওয়া গণ্ডির মধ্যে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর প্ৰয়োজন নেই। কারণ একটাই জীবন, এই জীবন একবার চলে গেলে আর ফিরে আসবে না।
নিজেকে আদর্শ নারী(An Ideal Woman) প্ৰমাণ করার জন্য নিজেকে সমাজের জাতাকলে প্ৰতিনিয়ত পিষে দেওয়ার প্ৰয়োজন নেই। তুমি তোমার সীমাবদ্ধতাকে বোঝ। নিজের শক্তি সামর্থ মতো কাজ করো। কারণ আর পাঁচটা পুরুষের মতো তুমিও মানুষ। মা দুর্গার মতো তোমার দশ হাত নেই। পুরুষতান্ত্ৰিক সমাজ তোমাকে দশ হাতের বোঝা জোর করে চাপিয়ে দিয়েছে।
পৃথিবীর সমস্ত ত্যাগ সহ্য করার জন্য তুমি পৃথিবীতে আসোনি। তোমার নারী হওয়ার মধ্যেও কোনও কৃতীত্ব নেই। কোনও ব্যর্থতাও নেই। নিজের প্ৰাপ্যটুকু সমান সমানভাবে নিজে বুঝে নেও। পুরুষতান্ত্ৰিক সমাজে (Masculine Society) নারীরাই নারীর শত্ৰু। সেক্ষেত্ৰে নারীদের আরও উদার মানসিকতা হওয়া জরুরি।
পুরুষতান্ত্ৰিক সমাজের সংস্কার করতে পরিবার থেকেই তা শুরু করতে হবে। ছেলে এবং মেয়ে উভয়কেই সমান সুযোগ, শিক্ষা-স্বাস্থ্য-উন্নয়ন দিতে হবে। তার কারণ পরিবার থেকে ভালো শিক্ষা, ভালো সংস্কার পেলে সমাজে ধর্ষণ কমবে। দেশ প্ৰগতির পথে এগোবে।
মানব সমাজের প্ৰগতি(Progress of Human Society)র জন্য নারীদের (Woman) এগিয়ে চলার জন্য নারী-পুরুষ উভয়ই পাশাপাশি হাতধরে এগিয়ে চলুক। মানবজাতির জয় হোক।