নয়াদিল্লিঃ Afghanistanএ নারীদের জিমে (gyms) যেতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করল সেদেশের সরকার। গত বছর থেকে আফগানিস্তানে আবার তালিবান রাজ শুরু হয়েছে। তার পর থেকেই সে দেশের নারীদের উপর একের পর এক ফতোয়া জারি করা হচ্ছে।
২০২১ সালে আফগানিস্তান আবার দখল করে তালিবান। তালিবানের হাতে সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকেই সে দেশে নারীদের জন্য একাধিক ফতোয়া জারি করা হয়। মহিলাদের জন্য হিজাব ও বোরখা পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেদেশে উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে মেয়েদের স্কুলও বন্ধ করে রেখেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে মহিলাদের পার্ক ও জিমে যাওয়ার উপরও যে ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল, তাতে স্বভাবতই অসন্তুষ্ট সে দেশের নারীরা।
ভাইস অ্যান্ড ভার্চু মন্ত্রকের (Ministry of Vice and Virtue) একজন মুখপাত্র বলেছেন যে এই নিষেধাজ্ঞাটি চালু করা হয়েছে কারণ দেখা গেছে নারী ও পুরুষরা এক সঙ্গে পার্কে ঘুরছেন। দুর্ভাগ্যবশত মেয়েরা কেউ হিজাব পরছেন না।
তালিবান সরকারের মুখপাত্র মহম্মদ আকিফ মহাজির (Mohammed Akef Mohajer)- জিমে যাওয়ার যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তা চলতি সপ্তাহ থেকে কার্যকর করা হবে। পার্ক ও জিমে নারীদের প্রবেশে যাতে নিষেধাজ্ঞা জারি না করা হয়, সে জন্য গত ১৫ মাস ধরে চেষ্টা চালিয়েছে তালিবান সরকার। জিম ও পার্কে প্রবেশে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা দিন ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু সেই নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে।
সেদেশে নারীরা নিষেধাজ্ঞার পরও এখনও পার্ক এবং জিম ব্যবহার করছে কিনা প্ৰতিষ্ঠাগুলির ওপর নজরদারী রাখবে তালিবান সরকারের দল।
একজন নারী প্রশিক্ষক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে কাবুলের জিমে যেখানে তিনি কাজ করেন সেখানে নারী এবং পুরুষরা একসঙ্গে ব্যায়াম বা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জোর দিয়ে বলেন, “তালেবানরা মিথ্যা বলছে।” “আমরা আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলাম।”
তিনি জানান- ভাইস অ্যান্ড ভার্চু মন্ত্রকের বলে দাবি করা দুই ব্যক্তি তাঁর জিমে প্রবেশ করে সেখান থেকে সমস্ত নারীকে চলে যেতে বাধ্য করেছিল। তিনি আরও জানান- নারীদের কেন জিমে যেতে দেওয়া হবে না ? তা নিয়ে একাংশ প্ৰতিবাদ করলে তালিবানেরা এসে তাদের গ্ৰেফতার করেছে। ধৃতরা বেঁচে আছে, না মরে গেছে সে সম্পর্কেও তাদের কাছে কোনও খবর নেই।