‘আজি এই জন্মদিনে/ দূরের পথিক সেই তাহারি শুনিনু পদক্ষেপ/ নির্জন সমুদ্রতীর হতে’।
ঋষিসুলভ সৌম্য চেহারা, লম্বা জোব্বা, চুল-গোফ-দাড়ি শোভিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ এক কবিতা ! যার শুরু আছে শেষ নেই । বলাকা’র মত দূরে আরো দূরে ! কিন্তু কত দূরে? কোথায় স্পর্শ করা যাবে তাকে ! এ যে এক সভ্যতার তরু। দাঁড়িয়ে আছে যুগে যুগে সভ্যতা, সংস্কৃতি সৃষ্টির জন্যে ! কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, প্রবন্ধকার কোন দল থেকে তাঁকে বাদ দেবে আপামর বিশ্ববাসী ? তাঁকে খণ্ড করা যায় না।
বাংলা সাহি্ত্য রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিয়ে পাঠ করা মানে নুনহীন তরকারি।
বিশ্ব অখণ্ডতার প্রতীক বিশ্বকবির রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আজ ১৫৮তম জন্মদিবস। তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত স্রষ্টা, যা বিশ্বে এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত।
কবিগুরুর বিশ্ব পরিচিতির জন্যে তাঁকে নিয়ে ৩৪ টি দেশ থেকে স্মারক ডাকটিকিট, ডাকটিকিটের শিটলেট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম,পোস্টকার্ড, অ্যারোগ্রাম, এবং বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে প্রথম ডাকটিকিট প্রকাশ করে ভারত। ১৯৫২ সালের পয়লা অক্টোবর। যার মূল্য হিল ১২ আনা। কিন্তু এই মুল্য কোন মূল্য দিয়েই ক্রয় করা যাবে না।
ওপার বাংলা তথা বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকবির ৫০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রথমবার ১৯৯১ সালের ৭ মে’ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে, যার মূল্যায়ন ছিল ৪ টাকা। সেই ডাকটিকিটে প্রকাশ পায়, রবীন্দ্রনাথের প্রতিচ্ছবি এবং শিলাইদহ কুঠিবাড়ির ছবি। ১৯৭৩ সালে সুডেন নোবেল বিজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওপর একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছিল।
২০১১ সালে রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ, ভারত, টুভালু, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, গিনি স্মারক ডাকটিকিট, শিটলেট, স্যুভেনির শিট প্রকাশ করে।
এখানেই শেষ নয়, সেন্ট্রাল আফ্রিকা একটি স্যুভেনির শিট ও প্যারাগুয়ে রবীন্দ্রনাথের নাম সংবলিত একটি স্যুভেনির শিট প্রকাশ করে।
চলতি বছরের ৮ মার্চ পি এবি আয়োজিত ফিলাটেলিক ট্যুর উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ খামে কবিগুরু এবং তার স্নেহের শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির ছবি স্থান পেয়েছিল। তাছাড়া স্কটল্যাণ্ড একটি শিটলেট প্রকাশ করে।