নয়াদিল্লি: সিসি ক্যামেরা মূলত বসানোই হয় সুরক্ষার কারণে। এখন অবধি আমরা এই উদ্দেশ্যেই সিসি বসানো দেখে এসেছি।
কিন্তু ইসলামের ভিন্ন কথা। যেমন ইরানের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অন্যরকম। বিভিন্ন পাবলিক লোকেশনে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। নাহ, সেটা সুরক্ষার জন্যে নয়।
লাগানো হয়েছে মহিলারা হিজাব পড়েছে কিনা দেখার জন্যে। হিজাব ছাড়া যে মহিলারা রাস্তায় বের হচ্ছেন তাদের চিহ্নিত করা।
সংবাদ মাধ্য়ম রয়টার্স সূত্রে খবর, ইদানিং নারীদের একাংশ ড্রেস কোড না মেনে হিজাব ছাড়াই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন। তারা মুক্ত হতে চাইছেন। কিন্তু মহিলাদের স্বাধীনতা কি এত তাড়াতাড়ি আসে?
মনে করা হচ্ছে মূলত তাদের শায়েস্তা করার জন্যেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
পুলিশ বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে কেউ নিয়ম ভাঙলে তাকে একটি টেক্সট মেসেজ করে নাকি সতর্ক করা হবে। কী সাংঘাতিক!
উল্লেখযোগ্য যে, গত সেপ্টেম্বর মাসে ইরানে ২২ বছর বয়সী কুরদিশ তরুণীর মৃত্যু হয়েছিল নীতি পুলিশের হেফাজতে। এরপরই রাস্তায় বেরিয়ে প্রতিবাদে এসেছিলেন নারীরা। খুব প্রতিবাদ হয়েছে।
হিজাব খুলে ফেলেছিলেন। মাহাসা আমিনিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তিনি হিজাব পরেননি বলে। আর এরপর থেকেই ইরানে হিজাব না পরার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে, এমনটাই খবর। হিজাবের আবরণকে তারা পছন্দ করছেন না। এই নিয়ে পরিস্থিতি এখন কোনদিকে যায়…!!