পাকিস্থানের বালুচিস্থানে একটি মন্দির আছে। যে মন্দিরের উৎসবে হিন্দু ও মুসলমানেরা এখানে পূজাপাঠ করেন। হিন্দুদের মতে এই মন্দিরটির নাম হিংলাজ মন্দির, মুসলমানেরা এই মন্দিরটির নাম দিয়েছে ‘নানী মন্দির’। এপ্রিল মাসে এই মন্দিরে ৪ দিনের উৎসব হয়। এই উৎসবে হিন্দু ও মুসলমান উভয় ধর্মের লোকেরা অংশগ্রহণ করে।
আফগান মুসলমানদের কাছেও এই মন্দিরটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রত্যেক বছর ভারত,পাকিস্থান ও আফগানিস্থানের হাজার হাজার তীর্থযাত্রী এই উৎসবে যোগ দেয়। এভাবে হিংলাজ মন্দির সম্প্রীতির মন্দির হয়ে উঠেছে। লৌকিক বিশ্বাস আছে যে, এই মন্দিরে পূজা করলে পাপ খন্ডন হয়। আগে তপ্ত বালুকাময় মরুভূমিতে ১৫০ কিমি পথ পায়ে হেটে এই মন্দিরে যেতে হতো। এখন পাকিস্থান সরকার এই মন্দিরে যাওয়ার পাকা পথ নির্মান করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, হিন্দুদের মতে এই মন্দির হিন্দুদের ৫১ টি শক্তিপীঠের অন্যতম। সতীর দেহত্যাগের পর, মহাদেব তার দেহ নিয়ে তান্ডব লীলা আরম্ভ করলে, ভগবান বিষ্ণু তার সুদর্শনচক্র দিয়ে সতীর দেহ ৫১ ভাগে খন্ড –বিখন্ড করে। সতীর দেহের বিভিন্ন অংগ ছড়িয়ে পড়ে সারা ভারতে। এই সময় অখন্ড ভারতের অভিন্ন অঙ্গ-রাজ্য বালুচিস্থানে পড়ে সতীর ব্রহ্মরন্ধ্র। এখানেই গড়ে ওঠে হিংলাজ মন্দির। হিন্দু বাঙালিদের সঙ্গে এই মন্দিরের সংযোগ দীর্ঘদিনের।
এই মন্দির নিয়ে একটি বাংলা চলচ্চিত্রও নির্মান করা হয়েছে। প্রত্যেক বছর ভারত ও বাংলাদেশের হাজার হাজার হিন্দু বাঙালি তীর্থযাত্রীরা এই পবিত্র মন্দির দর্শন করেন।