‘ফিলিপাইন আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসব ২০১৯’ ধামাইল নাচ কর্মশালার আয়োজন করে তুরঙ্গমী ডান্স থিয়েটার। তুরঙ্গমীর শিল্প নির্দেশক পূজা সেনগুপ্ত ফিলিপাইনে গিয়ে একান্ত মনের অনুভুতি প্রকাশ করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, বাংলার ধামাইল নাচের কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন ১ হাজার ২০০ জন মানুষ। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ফিলিপাইনের শিল্পী।
তিনি জানিয়েছেন, ফিলিপাইন সংস্কৃতির দেশ। সেখানে প্রত্যেকেই শিল্পী। বাংলাদেশের নাচ, নাচের সাজ সজ্জা, শাড়ির সঙ্গে কস্টিয়ুম ফিলিপাইনবাসীর মনের সঙ্গে খাপ খেয়ে গেছে। তাঁরা বাঙালির সংস্কৃতিকে সাদরে গ্রহণ করছেন।
পূজা জানিয়েছেন, ওলোটালিয়া দ্বীপ এবং কেপিজ প্রভিন্সিয়াল পার্কে ‘কমলা সুন্দরী’ গানটা দু–দুবার মঞ্চস্থ করা হয়েছে রঙিন আবির ব্যবহার করে। রঙে রঙে মেতে উঠেছিলেন ফিলিপাইনের মানুষ। তাঁদের মনেও আবিরের ছোঁয়া লেগেছে। এরপর ‘আমি পুরব দেশের পুরনারী’ গানে মিরপুরের কাতান পরিধান করে নাচ করেছেন পূজা। তিনি বলেন, ‘ফিরোজা বেগমের গাওয়া এ গানের কথাও সবাই জানতে চেয়েছে। বলেছি, তিনি বাংলা গানের একজন কিংবদন্তি শিল্পী’।
উল্লেখ্য, তুরঙ্গমী থেকে ফিলিপাইন আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসবে শিল্পনির্দেশক হিসেবে গিয়েছিলেন পূজা সেনগুপ্ত, সদস্য শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন সুস্মিতা লোপা এবং নৃত্যশিল্পী পূজার ছাত্রী লোপা অধিকারী।
শিল্প নির্দেশক পূজা জানান, ২৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসের দিন আমন্ত্রিত দেশগুলোর সঙ্গে ফিলিপাইন দলের প্রধানদের পরিচালনায় উৎসবের বিরাট দলটির সঙ্গে নাচ করেছি আমি। ম্যানিলায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়েছে। ফিলিপাইন সফরের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ও এস এম সি’র ব্রাণ্ড জয়া। তাঁদের প্রতি অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন পূজা।