বদলে যাচ্ছে ঢাকা, বদলে যাচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা, সমস্ত কিছু । এবার আর একটি প্রশংসনীয় প্রকল্প তথা সমস্ত নাগরিকদের সুবিধার্থে ডিজিটাল বাংলাদেশে টোকিওর আদলে কমলাপুর রেল স্টেশন’ কে গড়ে তোলা হবে । হবে ‘বহুমূখী স্টেশন’ নির্মাণ । প্রকল্প পরিপূর্ণতা লাভ করলে যাত্রীদের আর রিকশা, বেবিট্যাক্সি ধরার জন্যে বিভিন্ন স্থানে ঘেমে-নেয়ে যেতে হবে না । তাঁরা সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাবেন এই কমলাপুর স্টেশনেই !
অত্যধিক যানজট হ্রাস করার লক্ষ্যে জাপান সরকারের অর্থায়নে জি টু জির ভিত্তিতে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনের এই পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
‘যায়যায়দিন’ এ প্রকাশিত এই বিষয় সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বর্তমানের কমলাপুর রেল স্টেশন ভবনে একই ছাদের নিচে নির্মাণ করা হবে মেট্রোরেল স্টেশন, সিটি বাস স্টেশন । পাশাপাশি থাকবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ লিংক । সদরঘাট লঞ্চ যাত্রীদেরও এই স্টেশনের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে বলে জানা গেছে ।
তবে কমলাপুর স্টেশনের মুল ভবনটি না ভেঙেই তার চারদিকে ২৫তলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে ।
ভবনে সরকারি-বেসরকারি কার্যালয় থেকে শুরু করে থাকবে বাণজ্যিক প্রতিষ্ঠান সেই সঙ্গে পাঁচতারা হোটেলের সু-ব্যবস্থা । পাশাপাশি থাকছে বিনোদনের সমস্ত আয়োজন তথা বিনোদন কেন্দ্র ।
ভবনের তিনতলা পর্যন্ত থাকবে স্টেশন। হাইস্পিড ট্রেন স্টেশন থাকবে তৃতীয় তলায়।
উল্লেখ্য, ঢাকা শহরে সিটি বাস স্টেশন, ট্রেন স্টেশন, লঞ্চ স্টেশন সবকটা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে হওয়ার জন্যে যাত্রীদের রিকশা, বাস, বেবিট্যাক্সি ব্যবহার করতে হয় । যাতায়াতের আর অন্য কোন উপায় না থাকার জন্যে সড়কে ছোট ছোট এমন যানবাহনের সংখ্যা দিন-দিন বেড়ে চলেছে । সৃষ্টি হচ্ছে যানজট । বৃদ্ধি পাচ্ছে পথ দুর্ঘটনা ।
অথচ উন্নত বিশ্বে যাত্রীদের রেল স্টেশনেই গন্তব্যে পৌছানোর জন্যে রয়েছে যানবাহনের সু- ব্যবস্থা । আর তাই কমলাপুর রেল স্টেশনকে সাজানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে এই প্রকল্পে ।