জগৎসভায় বাঙালি শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করেছে। বাঙালি যায়, দেখে, জয় করে।
বাংলাদেশের রাজুব এখন নিউইয়র্কের গর্ব ! বাঙালির গর্ব !
নিউইয়র্ক শহরে পুলিশে চাকরি করতেন তিনি। পোস্টিং ব্রঙ্কসে। ২০১২ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগদানের আগে এমএ করেন আমেরিকান পাবলিক ইউনিভার্সিটি থেকে ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি‘ বিষয়ে। এরপর ওয়াল্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে ফরেনসিক সাইকোলজিতে এমএ করেন। ডক্টরেট করেন ক্যালিফোর্নিয়া সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে। একই ইউনিভার্সিটিতে পুনরায় ব্যবসায় প্রশাসনে পিএইচডি কোর্সে ভর্তি হয়েছেন রাজুব। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করছেন সাংবাদিকতায়।
ভৌমিকের মানবতার কথা ছড়িয়ে গেছে সমগ্র নিউইওর্কে। চলতি মাসেই ডাউন টাউন ম্যানহাটানে হাডসন নদীতে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করতে যাওয়া এক ব্যক্তির প্রাণ বাঁচিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ব্রঙ্কসে দু’বছরের এক শিশুকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন রাজুব।
রাজুব মনে করেন, এটি তাঁর মানবিক দায়িত্ব। এমন অসহায় মানুষদের রক্ষা করতে পারলে নিজে স্বাচ্ছ্ন্দ্যবোধ করেন।
সমাজসেবী রাজুব একাধারে কবি ও লেখকও বটে ! ইতিমধ্যে তিনটি সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের জন জে কলেজে তাঁর লেখা বই পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সনেট রচনা করেছেন ৫০০ টি, এছাড়া ১৬ খানা বই প্রকাশ পেয়েছে ইতিমধ্যে।
অসীম সাহস এবং মানবিকতার জন্যে বেশ কটি পুরস্কার পেয়েছেন রাজুব। পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ছাড়াও সিটি মেয়র, সিটি কাউন্সিলের পুরস্কারও পেয়েছেন।
নিজ দেশ বাংলাদেশ সম্বন্ধে রাজুব বলেন যে, বাংলাদেশ আগের থেকে অনেক অগ্রসর হয়েছে। তবে তারা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যতটা সুযোগ পাওয়ার, ততটা পাচ্ছে না। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার আরো বাড়াতে হবে তবেই বাংলাদেশের তরুণের ভবিষ্যৎ আলোকিত হবে।