অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে যৌন হয়রানির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক চিকিৎসক। মামলার পরবর্তী শুনানিতে তাঁর সাজা ঘোষণা করবেন আদালত।
শরীফ ফাত্তাহ নামের ওই চিকিৎসককে শুনানি শেষে দোষী সাব্যস্ত করেন সিডনির স্থানীয় একটি আদালত।
শরীফ ফাত্তাহর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির ৩০টি অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ১৮টিতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। অর্থাৎ ১৮টি অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে।
১৯ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১৬ জন নির্যাতিতা মহিলা শরীফ ফাত্তাহর বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
৬২ বছর বয়সী চিকিৎসক শরীফ ফাত্তাহ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নিউজিল্যান্ডের নাগরিক। তিনি সিডনিতে জেনারেল প্র্যাকটিশনার হিসেবে কর্তব্যরত ছিলেন। সিডনিতে ক্যামডেন হেলথ কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করছিলেন শরীফ। ২০১৬ সালে তিনি সেন্টারটিতে যোগ দিয়েছিলেন।
শরীফ ফাত্তাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি চিকিৎসার সময় অনাবশ্যক পরীক্ষার নাম করে মহিলা রোগীদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করতেন।
২০১৭ সালে চিকিৎসা নিতে আসা এক মহিলা রোগীর সঙ্গে শরীফ ফাত্তাহ বলপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করলে সেই মহিলা পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে শরীফ ফাত্তাহ গ্রেপ্তার হন। পরে তাঁর বিরুদ্ধে আরও একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকে। গ্রেপ্তারের পর শরীফ ফাত্তাহকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা প্রদান বন্ধ রাখার শর্তে তখন তিনি জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসে কোনও বৈধ ভিসা বর্তমানে শরীফ ফাত্তাহর নেই। এ জন্য তাঁকে ভিলাউড বন্দিশালার হেফাজতে রাখা হয়েছে।