রবিবারের ধারাবাহিক বিস্ফোরণে সব মিলিয়ে মোট ৬ জন ভারতীয়ের নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। নিহতরা হলেন, পি এস রাজিনা, লক্ষ্মী, নারায়ণ চন্দ্রশেখর এবং রমেশ। কর্নাটকের দুই জেডিএস কর্মী কে জি হনুমানাথারায়্প্পা এবং এম রঙ্গাপ্পা। তাঁদের পরিবারকে সব রকম সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, পি এস রাজিনার (৫৮) ইঞ্জিনিয়ার স্বামী খাদের কুকাডি দুবাইয়ে কর্মরত। তাঁর সঙ্গেই দুবাই থেকে শ্রীলঙ্কায় ছুটি কাটাতে এসেছিলেন রাজিনা। আদতে তিনি কেরলের মেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। কলম্বোয় রবিবারের ধারাবাহিক বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।ছুটি কাটাতে এসে এখানকার পাঁচতারা হোটেল শাংগ্রি লা-য় উঠেছিলেন রাজিনারা। রবিবার ভোরে দুবাইগামী বিমান ধরার জন্য হোটেল থেকে বেরিয়ে যান খাদের। কলম্বোয় ভাই বশিরের সঙ্গে দেখা করার জন্য থেকে যান রাজিনা। হোটেল থেকেই বোনকে নিয়ে আসার কথা ছিল বশিরের। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে রাজিনার দেহ শনাক্ত করেন তিনি।
অন্যদিকে, বিস্ফোরণে কর্নাটকের দুই জেডিএস কর্মীও নিহত হয়েছেন। তাঁদের নাম কে জি হনুমানাথারায়্প্পা এবং এম রঙ্গাপ্পা। বিস্ফোরণের পরই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী টুইট করেছিলেন, টুমকুর এবং চিকবালপুর থেকে জেডিএস কর্মীদের ৭ জনের একটি দল কলম্বোর শাংগ্রি-লা হোটেলে ছিলেন।বিস্ফোরণের পর থেকে তাঁরা নিখোঁজ। তাঁদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যুর আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন কুমারস্বামী। শেষে, সোমবার সকালে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ টুইট করে জেডিএস কর্মীর নিহতের খবর দেন।
নিহতের পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
রবিবার শ্রীলঙ্কার কলম্বো, নেগেম্বো ও বাত্তিকালোয়া শহরে হোটেল, গির্জা, চিড়িয়াখানা মিলিয়ে মোট আটটি বিস্ফোরণ ঘটে। সেই বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯০। আহত পাঁচ শতাধিক।