বাংলাদেশের প্রথম নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য সবাক চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর মেয়ের জীবন চলছে ভিক্ষে করে !
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রথম সবাক ছবির নাম ‘মুখ ও মুখোশ’। ১৯৫৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আব্দুল জব্বার খানের পরিচালনায় ‘মুখ ও মুখোশ’ ছবির নায়িকা ছিলেন বিলকিস বারী।
খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান মানুষের তিনটি মৌলিক অধিকার। অভিনেত্রী বিলকিসের মেয়ে ভুলু বারী দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রথম মৌলিক চাহিদা পূরণ করার জন্যে। যদিও দ্বিতীয় বা তৃতীয় মৌলিক চাহিদার কোনটিই তাঁর সামান্যতমও পূরণ হয়নি! এমনই মর্মান্তিক খবরটি পাওয়া গেল।
ভুলু বারী তাঁর মর্মান্তিক জীবন যাপনের কথা জানিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন যে, ‘আমি বাংলাদেশের প্রথম নায়িকার মেয়ে হয়ে আমার আজ এই অবস্থা ! আমাকে প্রধানমন্ত্রী যেন কিছু সাহায্য করেন’।
উল্লেখ্য ভুলু বারী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের কাছে এক ভাঙা বাড়িতে কোনমতে দিন গুজরান করছেন।
চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কাছে হাত পাততে হচ্ছে সূর্য ওঠার সাথে সাথে।
কেউ মুখ ফেরান, কেউ দেন এক দু টাকা।
বাংলাদেশের প্রথম নায়িকার কন্যার খোঁজ নেবার মতো মানুষ দেশে কেউ নেই।
তবুও সূর্যাস্তের সাথে সাথে একটা নতুন দিনের, সুন্দর দিনের সূচনা হবে, এই আশায় প্রতি রাতে বুক বাঁধেন। কিন্তু কোথায় কি ?
কেটে গেছে দুই যুগেরও বেশি। প্রায় ৪৫ বছর ধরে জীবনকে এভাবেই যাপন করে চলেছেন ভুলু।
দেশের প্রথম অভিনেত্রীর মেয়ে ভিক্ষে করে দিন গুজরান করছেন ! এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই স্বপ্ন সুপার শপ প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এবং স্বপ্ন’ কিছুটা ব্যবস্থা করে দিয়েছে বলে জানা গেছে বিলকিস বারীর মেয়ে ভুলু বারীকে।