ঢাকা: বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাঁতানো রোদে দমবন্ধ অবস্থা এখন বাংলাদেশের প্রকৃতিতে। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ। তীব্র তাপপ্রবাহে গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউই।
ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশের মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হয়েছে। অসহনীয় এ গরমের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বাংলাদেশে ৭ দিনের জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
রোববার বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় তাপমাত্রা রয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার তীব্র গরমে হিটস্ট্রোকে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় ২ জন, পাবনায় ১ জন, চট্টগ্রামে ২ জন, গাজীপুরে ১ জন ও ঢাকার ফকিরাপুল এলাকায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ, বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন। দাবদাহে স্বস্তি পেতে শরীর-মন যখন ছায়া খোঁজে, তখন রুটি-রুজির জন্য বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। গরমে ঘেমে নেয়ে একাকার হচ্ছেন রিকশা ও ভ্যানচালকরা।
তবে চলমান তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতিতে সারা বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোর পর্যাপ্ত শয্যা খালি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। রবিবার সকালে সারা বাংলাদেশের হাসপাতালের পরিচালক, সিভিল সার্জনদের সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
আবহাওয়াবিদ ওমির ফারুক বলেন, তাপমাত্রা রোববার আরও একটু বেশি। এই তাপমাত্রা এমনই থাকতে পারে এই সপ্তাহজুড়ে। বাতাসে জ্বলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় গরমের অনুভূতি তাপমাত্রার তুলনায় বেশি।