ঢাকা: যোগাযোগ ক্ষেত্রে পিছিয়েপড়া বাংলাদেশের দক্ষিণবঙ্গ মাদারীপুরের মাটি দিয়ে প্রথমবার ট্রেন চলার খবরে খুশির বন্যা বাইছে পুরো ওই অঞ্চলে।
সবচেয়ে খুশি জেলার শিবচর, শরীয়তপুরের জাজিরা ও বিক্রমপুর (এখন মুন্সীগঞ্জ) জেলার সর্বস্তরের মানুষ। পাশাপাশি খুশি দক্ষিণবঙ্গ বরিশাল জেলার মানুষও। কেননা তারাও এর সুফল ভোগ করবেন।
পদ্মাপাড়ের এ অঞ্চল দিয়ে ট্রেন চলবে, যা ছিলো স্বপ্নাতীত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক চেষ্টার ফলে পদ্মাসেতু নির্মাণ হওয়ায় সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে মঙ্গলবার। অর্থায়নের কথা বলেও বিএনপি ও নোবেলজয়ী কুপরামর্শে ঋণদান থেকে সরে দাঁড়ায় বিশ্বব্যংক।
কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা পদ্মাসেতু নির্মাণের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। এবং তা করেও দেখান। অর্থাৎ গত বছর জুনে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর পুরোদমে ট্রেন চলাচল শুরু হলে আরো একটি স্মারক যোগ হবে দেশের দক্ষিনপশ্চিমাঞ্চলে।
বিক্রমপুরের মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা অবধি দূরত্ব ২০ কিলোমিটার।
গত বছর ২৫ জুন বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৬ জুন থেকে সড়ক পথের দুয়ার খুলে যায়।
অপেক্ষায় ছিলো সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল। পদ্মা সেতু চালুর ৯মাস ১০দিনের মাথায় অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার (৪এপ্রিল)। জীবনের প্রথম মাদারীপুরসহ দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ তাদের মাটিতে রেল চলারচল দেখবে এটা তাদের কাছে পরম পাওয়া।
একই সঙ্গে স্বল্প খরচে ও কম সময়ে মানুষের যাতায়াত সুবিধা, পণ্য আমদানী রপ্তানীতে গতি আসবে, ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে। চাঙ্গা হবে দেশের অর্থনীতি। বিশেষ করে স্বল্প খরচে কৃষি পণ্য রাজধানীতে নিতে পারবে ভাটি অঞ্চলের কৃষকরা। এরই মধ্য দিয়ে দেশবাসী আরো একটি মাইল ফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে।
ফরিদপুর জেলার অধীন থানা ভাঙ্গা স্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান জানান, ‘মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ভাঙ্গা স্টেশন থেকে একটি গ্যাংকার ট্রেন এবং ৭ বগিবিশিষ্ট যাত্রীবাহী একটি স্পেশাল ট্রেন ঢাকার অদূরে মাওয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে রেলমন্ত্রী মহোদয় আসবেন, এবং তিনি এখানে ব্রিফ করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে ট্রেন ছাড়তে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। আগে গ্যাংকার ট্রেন ছাড়া হবে, তারপরে স্পেশাল ট্রেন যাত্রা করবে। যাত্রীবাহী হলেও এই স্পেশাল টেনে কোন যাত্রী থাকবে না। শুধু মন্ত্রী মহোদয়, রেল লিংক প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট আধিকারীকরা, সেনাবাহিনীর অফিসারগণ এবং বিশেষ অতিথিবৃন্দ থাকবেন।
মাওয়া পৌঁছানোর পরে সেখান থেকে মন্ত্রী মহোদয়সহ অতিথিবৃন্দ সড়ক পথে ঢাকায় ফিরে যাবেন। ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া স্টেশনে পৌঁছাতে কত সময় লাগবে জানতে চাইলে ভাঙ্গা স্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান বলেন, ‘কতটা গতিতে চালানো যাবে এবং চালক কতটা গতিতে ট্রেন চালাতে পারবেন; তার ওপর নির্ভর করছে ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া স্টেশনে পৌঁছাতে কতটা সময় লাগবে।
তিনি আরো বলেন, ‘ট্রেন দুটি মাওয়া স্টেশনে পৌঁছানোর পরে গ্যাংকার ট্রেন ওখানেই থেকে যাবে; আর স্পেশাল ট্রেনটি মাওয়া থেকে ব্যাক করে পূণরায় ভাঙ্গা স্টেশনে আসবে।’
ঢাকা: বাংলাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে অতি গরমের ফলে হিটস্ট্রোকে ৩৭ জন মারা গিয়েছেন।…
ঢাকা: বাংলাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহে রেললাইন বেঁকে ট্রেন চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। যাকে রেলের ভাষায় বলা হয়…
মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য সপ্তাহটি ভালোই হতে চলেছে। অর্থ উপার্জন হবে। সমাজে সম্মান বাড়বে।…
ঢাকা: বাংলাদেশে চলতি বছর সীমাহীন তাপদাহে মানুষের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশে সরবোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে…
সিংহ: আজকের দিনটি আপনার জন্য নতুন কিছু শেখার দিন হবে। ভাগ্যের দিক থেকে দিনটি ভালোই।…
ঢাকা: বাংলাদেশে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম (২৫)…