ঢাকা: মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও থানায় গতকাল বুধবার ইদ-উল ফিতর উদযাপিত হয়েছে।
বাংলাদেশের চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, জামালপুর, ঝিনাইদহ, পটুয়াখালী, মুন্সীগঞ্জ, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, সাতক্ষীরা ও মৌলভিবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় ইদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানী ঢাকার পান্থপথেও ইদের নামাজ আদায় করেছেন কিছু মুসল্লি। ইদ উদযাপনকারীরা বলেছেন, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে চাঁদের অবস্থান জেনে এবং সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশে চাঁদ দেখার খবর পেয়ে বুধবার (১০ এপ্রিল) ইদুল ফিতর উদযাপন করেছেন তারা।
পদ্মা সংলগ্ন চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার অর্ধশত গ্রামে ইদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার চার গ্রামের মুসল্লিরা ইদ উদযাপন করেন। প্রায় ১০০ বছর ধরে বাংলাদেশের একদিন আগেই তারাবির নামাজ পড়ে রোজা শুরু করেন তারা।
চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়ার মির্জারখীল, এওচিয়ার গাটিয়া ডেঙ্গা, মাদার্শা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, তৈলারদ্বীপের ৬০ গ্রামের বাসিন্দারা ইদ উদযাপন করছেন।
উত্তরের জেলা দিনাজপুর সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার কিছু স্থানে বুধবার ইদ উদযাপিত হয়েছে। জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষ ইদ উদযাপন করেছেন। পশ্চিমের জেলা ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডতেও ইদ উদযাপন করেছেন মুসল্লিরা। দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীর বদরপুর দরবার শরীফসহ জেলার ২৭ গ্রামে মুসলমানরা ইদ উদযাপন করেছেন ।
মুন্সীগঞ্জের (বিক্রমপুর) নয় গ্রামে বুধবার ইদুল ফিতর উদযাপিত হয়। গ্রামগুলো হচ্ছে- সদর উপজেলার আনন্দপুর, শিলই, নায়েবকান্দি, আধারা, মিজিকান্দি, কালিরচর, বাংলাবাজার, বাঘাইকান্দির ও কংসপুরা একাংশ। লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি গ্রামে ইদের নামাজ আদায় করেছেন পাঁচ শতাধিক মুসল্লি।কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী ও রাজিবপুর উপজেলায় তিনটি ইউনিয়নের কয়েকশ মানুষ ইদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।
পশ্চিমের জেলা সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে ইদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলার বাউকোলা, ভাড়ুখালী, আখড়াখোলা, তলুইগাছা, তালা উপজেলার ইসলামকাটি, কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া, পাইকগাছা, খলিলনগর এলাকার অনেকেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১০ গ্রামে ইদ উদযাপিত হয়েছে।