ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) উত্তর জনপদ জেলা রংপুরের (rangpur) পীরগঞ্জে ১৮তম স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী আবু সাঈদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার রংপুরের (rangpur) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক এম আলী আহমেদ ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি আবু সাঈদ পলাতক ছিলেন।
এ মামলার অপর পলাতক আসামি আবু সাঈদের ১৮তম স্ত্রী তাছকিরা বেগমের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গিয়েছে, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার অনন্তরামপুর গ্রামের তাজিম উদ্দিনের মেয়ে তানজিনা খাতুনের সঙ্গে ওই উপজেলার পালগড় গ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে আবু সাঈদের বিয়ে হয়।
তানজিনা ছিলেন আবু সাঈদের ১৭তম স্ত্রী। পরবর্তীতে আবু সাঈদ তাছকিরা বেগম নামে আরো এক নারীকে বিয়ে করেন।এ নিয়ে তার বিয়ের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮।
কিন্তু ১৫ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে আবু সাঈদ (তৎকালীন বয়স ৪২) ২০০৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তানজিনাকে (তৎকালীন বয়স ৩২) পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ ধান ক্ষেতে ফেলে যায়।
অভিযোগ ওঠে তার ১৯তম নববিবাহিত স্ত্রী তাছকিরার (২০) সহযোগিতায় তানজিনাকে হত্যা করে।এ হত্যা কাণ্ডের পরের দিন পীরগঞ্জ থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন তানজিনার বাবা। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জিয়াউল হক।
৩০ জুলাই সেটি আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১০ সালের ২৬ জুলাই জামিন পেয়ে কিছুদিন আদালতে হাজিরা দিয়ে ২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে পলাতক রয়েছেন মামলার আসামি আবু সাঈদ।
অন্যদিকে তাছকিরা বেগম ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জামিন পেয়ে ২০১৪ সালের ১৮ মে থেকে পলাতক। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি তাজিবুর রহমান লাইজু জানান, অভিযুক্ত আবু সাঈদ যৌতুকের লোভে একের পর এক বিয়ে করছিলেন।
তানজিনাকে বিয়ের সময় ২৫ হাজার টাকা যৌতুকের মধ্যে ১০ হাজার টাকা দেন তার বাবা। বাকি ১৫ হাজার টাকার দাবিতে তানজিনাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আবু সাঈদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।