কয়েকদিন আগেই বাংলায় পোস্টার প্রকাশ করে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ‘শীঘ্রই আসছি’। সতর্কতা জারি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে। বাড়ানো হয়েছিল নিরাপত্তা। কিন্তু কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সোমবার রাতে ঢাকার গুলিস্তান এলাকায় হামলা চালাল জঙ্গি সংগঠন আইএস। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন তিন পুলিশ কর্মী।
আইএসের গতিবিধি বিশ্লেষক রিটা কাটজ মঙ্গলবার টু্ইটারে আইএসের দাবি সম্বলিত একটি স্ক্রিনশট দেন। আরবি ভাষায় যাতে লেখা রয়েছে, ‘ঢাকার গুলিস্তানে মুরতাদ বাহিনীর ওপর এ হামলা চালানো হয়। রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় বোমা হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন’।
এদিকে খবর রয়েছে, সোমবার রাত ৮টা নাগাদ বঙ্গবন্ধু শপিং কমপ্লেক্সের সামনে পুলিশের একটি কিয়স্ককে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে জঙ্গিরা। এতে আহত হন, ট্রাফিক কনষ্টেবল নজরুল ইসলাম, মহম্মদ লিটন এবং কমিউনিটি পুলিশ মহম্মদ আশিক। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদেরকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রাজারবাগ হাসপাতালে৷ পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
ঢাকা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (এডিসি) শিবলি নোমান জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ট্রাফিক পুলিশের মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) বজলুর রহমান। তিনি জানান, যান নিয়ন্ত্রণের সময়ই হঠাৎ দূর থেকে তাঁদেরকে লক্ষ্য করে একটি ককটেল বোমা ছোঁড়া হয়। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগ, র্যাব ও সিআইডি। আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করায় আরও চিন্তা বেড়েছে বাংলাদেশ প্রশাসনের।