নয়াদিল্লি: নারী দিবস গেল ৮ মার্চ। তবে নারী দিবস প্রতিবছর পালন হলেও নারীর ওপর অত্যাচার কমে না। পুরুষতান্ত্রিকতার শেষ নেই।
প্রতি বছর নারী দিবস আসে। সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে নারী দিবসটি উৎযাপিত হয় বাংলাদেশের শহর বন্দর গ্রাম গঞ্জ সর্বত্র। সেই সব উৎযাপনে মৃত এবং জীবিত অনেক নারীকেই নারীবাদী হিসেবে সম্মান জানানো হয়। কেউ কিন্তু ঘুণাক্ষরেও আমার নামটি উচ্চারণ করে না। যদিও নারীর স্বাধীনতা এবং সমানাধিকারের সমর্থনে আমি প্রায় পঞ্চাশটি বই লিখে ফেলেছি। যদিও এসব বই লিখতে গিয়ে নারীবিদ্বেষী ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর রোষানলের শিকার হয়েছি এবং বিবেকবর্জিত ধার্মিক সরকারের আক্রোশের শিকার হয়ে নির্বাসন দণ্ড ভোগ করছি গত তিন দশক।
নারী দিবসে আমার নাম উচ্চারণ করা হয় না, এ ব্যাপারটি আমাকে বিস্মিত করে না। যে ব্যাপারটি আমাকে বিস্মিত করে সেটি হলো, প্রায় তিরিশ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে, এখনও, কোনও মেয়ে যদি নিজের অধিকারে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ না চায় বা হিজাব বা বোরখা পরতে না চায় বা পুরুষের অধীনে বাস করতে না চায় বা নিজের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না চায় বা শিক্ষা এবং স্বনির্ভরতা অর্জনে কোনও বাধা সহ্য করতে না চায় বা পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে মাথা পেতে গ্রহণ করতে না চায় বা পুরুষের দাসিত্ব করতে না চায় –তাকেই সমাজের রক্ষণশীল নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠী ”তসলিমা নাসরিন” বলে গালি দেয়।
নারী দিবসে যাঁদের সম্মান জানানো হয় তাঁদের নাম না নিয়ে আমি বুঝি না কেন তারা আমার নাম নেয়! তাহলে কি ওই নমস্য নারীবাদীদের আপামর জনসাধারণের মতো নারীবিদ্বেষীরাও সম্মান করে”!