নয়াদিল্লি: মোটামুটি বয়স্ক লোকেদের আজকাল বেশি পছন্দ করে। কারণ তাঁদের অধিকাংশের মধ্যেই মেয়েরা কেয়ারিং বিষয়টা পায়।
এই নিয়ে লেখক তসলিমা নাসরিন লিখেছেন:
“বাংলাদেশের কিছু সুন্দরী-কিশোরী বৃদ্ধ লোকদের বিয়ে করেছে। সেই বৃদ্ধরা যদি ব্র্যাড পিট বা টম ক্রুজের মতো দেখতে হতো, তাতে হয়তো মানুষের এত আপত্তি থাকতো না।
আনফিট, আনঅ্যাট্রাকটিভ, আনপ্লিজিং, আনঅ্যাপেলিং,আনহ্যান্ডসাম, আনশেপলি, আনএস্থেটিক বলেই চোখে লাগছে। কেন বৃদ্ধদের তারা পছন্দ করেছে, এই প্রশ্নের উত্তরে কিশোরীরা বলে, এ আমাকে টেক কেয়ার করে, আমার দেখভাল করে, আমাকে সময় দেয়, আমাকে ভালবাসে, আমাকে স্পেস দেয়, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে না।
বৃদ্ধরা যে খুব ধনী, মিলিওনিয়ার বা বিলিওনিয়ার– তা নয় কিন্তু। অথচ কিশোরীরা যে জিনিসটা চাইছে তা হলো ওই সম্মানটা, টেক কেয়ার করাটা। সেটা যার কাছে থেকে পাচ্ছে, তার দিকে হাত বাড়াচ্ছে, সে দেখতে যেমনই হোক, বয়স তার যতই হোক।
ওই শ্রদ্ধা সম্মান ভালবাসা আর টেক কেয়ার ব্যাপারটা, মানি আর না মানি, দিন দিন প্রাউড যুবকদের মধ্যে কমে এসেছে। তাদের পৌরুষের বড়াই এত বেশি যে নারীবিদ্বেষকে তারা স্বাভাবিক বলে ধরে নেয়।
হিংসে ঘৃণা ঈর্ষাকে, বর্বরতা আর নিষ্ঠুরতাকে পৌরুষ বলে ভেবে নেয়। ব্যতিক্রম যে নেই, তা নয়। বধূ নির্যাতন, বধূ হত্যা যুবকেরা করে পৌরুষের অহংকারেই। তথাকথিত পৌরুষ যত কমে, পুরুষেরা তত মানুষ হয়। মায়া মমতা ভালবাসাকে মেয়েদের গুণ বললে চলবে না। এগুলোকে পুরুষের গুণ করতে হবে।
আবেগ অনুভূতি কান্না কষ্ট পাওয়া এসবকে মেয়েদের ব্যাপার বলে সরিয়ে রাখলে চলবে না, এসবকে পুরুষের ব্যাপার করতে হবে। তা না হলে বিষাক্ত পৌরুষে ছেয়ে যাবে সমাজ সংসার, নষ্ট হয়ে যাবে মানব প্রজাতি”।