ঢাকায় ত্রাণের জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদার গল্পটি তাসলিমার। তার ৫০-এর কোঠায় বয়স। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ফুল বিক্রি করে সংসার চলে তার। তবে করোনার প্রভাবে থেমে গেছে তার জীবিকার চাকা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ত্রাণের জন্য তাসলিমার রাস্তায় দাঁড়িয়ে কান্নার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিও দেখে তাকে খুঁজে বের করে নিত্যপণ্য পৌঁছে দিয়েছে ‘মিশন সেভ বাংলাদেশ’। নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘মিশন সেভ বাংলাদেশ’। এই উদ্যোগে এখন পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে প্রায় দুই হাজার ৪শ’ পরিবার পেয়েছে নিত্যপণ্য সহায়তা।
তাসলিমা জানিয়েছেন, রাস্তায় ফুল বিক্রি করে যে কয় টাকা আয় হতো, তা দিয়েই সংসার চালাতেন তিনি। কিন্তু এখন আর রাস্তায় গাড়ি নেই। ফুল কেনার মতো মানুষও নেই। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরলেও তার কোনও উপার্জন নেই। কঠিন হয়ে পড়েছে জীবন বাঁচানো।
তিনি জানান, কয়েকদিন আগে হঠাৎ তিনি খবর পেলেন-কোথায় যেন ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের কারণে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের দেওয়া হচ্ছে এই ত্রাণ। তিনি ছুটে গেলেন সেখানে, কিন্তু ত্রাণ মিললো না। ভেবেছিলেন দু’দিনের খাবার জোগাড় হতো এই ত্রাণে। তাও হাতছাড়া হয়ে গেলো তাসলিমার।
তাসলিমা জানান, ত্রাণের জন্য রাস্তায় নেমেছিলেন তিনি। একটি গাড়ি দেখে ছুটে যান কাছে। কিন্তু ত্রাণ না পেয়ে চোখের পানি ফেলে কাঁদতে থাকেন তিনি। এরপরের খবর সবারই জানা। তাসলিমার কান্নার সেই ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ভিডিওটি দেখে তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালায় ‘মিশন সেভ বাংলাদেশ’। অবশেষে মিশন টিম পৌঁছে যায় বস্তিতে থাকা তাসলিমার কাছে। তাকে দেওয়া হয় কয়েকদিনের নিত্যপণ্যে। ত্রাণ পেয়ে মুখে হাসি ফোটে তাসলিমার। মিশন সেভ বাংলাদেশের সহায়তা পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তাসলিমা। তিনি বলেন, এখন কয়টা দিন খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারব। কষ্টের দিন কবে শেষ হবে জানিনা। তবে এই ত্রাণ দুঃসময়ে আমার পরিবারের জন্য অনেক বড় পাওয়া।