ভারতে এ মুহূর্তে তবলিগি জামাত জনগণের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। জামাতে অংশ নেয়া, ভিসার নীতি ভঙ্গ করা প্রভৃতি ৯৬০ জন বিদেশি প্রতিনিধিদের ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কালো তালিকাভুক্ত করেছে।
এদিকে, বাংলাদেশেও তাবলিগি জামাতের সব ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। জানিয়েছেন সংগঠনটির একাংশের মুরুব্বি মাওলানা জুবায়ের আহমেদের ছেলে হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ হানজালা।
রবিবার বিকেলে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে তাবলিগ জামাতের জনসম্পৃক্ততা হয় এমন সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
উল্লেখ্য যে, ভারতে দিল্লির নিজামুদ্দিনকে করোনা সংক্রমণের ১০ হট স্পটের মধ্যে একটি চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যগুলোতে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। এবং এর অধিকাংশই তবলিগি জামাতকারী। সেখান থেকেই দেশে বহুল পরিমাণে মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে বলে জানাচ্ছে সরকার।
অসমে এ পর্যন্ত ২৬ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ২৫ জনের সঙ্গে নিজামুদ্দিনের সম্পর্ক রয়েছে।
সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হলো, নিজামুদ্দিন ফেরতদের কেউ কেউ এখনো অবধি নিজেদের গোপনে রেখেছেন! অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আহ্বান জানাচ্ছেন, তাঁরা যেন বেরিয়ে এসে ধরা দেন।
কিন্তু এ মুহূর্তে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের তবলিগি জামাতের নেতার পাশাপাশি এর রাজ্যিক শাখার বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে রবিবার অসম পুলিশ মামলা রুজু করেছে।
দিল্লির মারকাজের মুখ্য সদস্য ছাড়াও উক্ত এজাহারে সন্ধানহীন হয়ে থাকার অভিযোগ থাকা সমাবেশে অংশ নেওয়া রাজ্যের অন্য ৫ জনের নামও দেয়া হয়েছে।
‘মেলিগনেন্ট অ্যাক্ট লাইকলি টু স্প্ৰেড ইনফেকশ্যন অফ ডিজিজ ডেঞ্জারাস টু লাইফ’ এবং পাসপোর্ট আইনের সঙ্গে জড়িত ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ২৭০ এর অধীনে মামালা রুজু করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকার উক্ত ধর্মীয় সমাবেশে উপস্থিত থাকা সকলকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্যে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্যে সোমবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে।