ঢাকা: প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশের পূবের জেলা সিলেট অঞ্চলে পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টিতে বন্যা দেখা দিয়েছে।
হাওড় বেষ্টিত সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে নৌকাডুবিতে তিন ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে বন্যার জল ঘরে উঠতে দেখে আতঙ্কিত ওই তিন শিশু একটি ভাঙা ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে মহাসড়কের দিকে যাওয়ার সময় ডুবে গিয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়।
মারা গিয়েছে-গোবিন্দপুর গ্রামের সোহেল মিয়ার মেয়ে ফারজানা (১৩) ও মারজানা (৮) এবং পুত্র রবিন (৪)। স্থানীয় লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ জানান, নৌকা ডুবিতে তিন ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। এই কাণ্ডে এলাকায় শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে রবিবার সুনামগঞ্জে বাড়তে থাকে জল। এ সময় সুহেল মিয়া ও তার স্ত্রী পারিবারিক কাজে শান্তিগঞ্জ উপজেলা সদরে ছিলেন।
ঘরের মধ্যে জল বাড়ছে দেখে আতঙ্কিত হয়ে বাড়িতে অবস্থানরত চার ভাই-বোনের মধ্যে ছোট তিনজন একটি ভাঙা ডিঙি নৌকা নিয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের দিকে যাত্রা করে।
কিছু দূর যাওয়ার পর ভাঙা নৌকাটিতে জল ঢুকে ডুবে যায়। এ সময় ভাই-বোনদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থল যান।
খোঁজাখুঁজির পর সেখান থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা দুই দিনের ভারি বর্ষণে সোমেশ্বরী, উব্দাখালী নদী ও এর আশপাশের হাওরের জল বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে রাস্তাঘাট ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
উপজেলার সদর, চামরদানী, বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ও বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ও মধ্যনগর মহিষখলা সড়কের নিচু অংশ জলের স্রোতে তলিয়ে গেছে।
মধ্যনগর-মহিষখলায় বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেড় ফুটের মতো জল বৃদ্ধি পেয়েছে। জল বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে হাওরাঞ্চলে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। ওই এলাকায় একমাত্র নৌকাই বর্তমানে চলাচলের বাহন।