বাংলাদেশে স্মার্ট সিটি গড়তে চায় ভারত। ভারতের আদলে এখানেও এ ধরনের সিটি করা হবে। এজন্য বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ প্রস্তাব দিয়েছেন ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর নিজ কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামালের সঙ্গে ওই বৈঠকে আখাং-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে, ভ্যাট আদায়ে ফাঁকি রোধে ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস বা ইএফডি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। এ লক্ষ্যে ইএফডি ক্রয় প্রক্রিয়া এনবিআরে সক্রিয় রয়েছে। এ প্রক্রিয়াতেও ভারতকে অংশগ্রহণ সহ ব্যাংকিং বিভাগ, জ্বালানি মজুদ কেন্দ্র ও শিক্ষাবিভাগে বিনিয়োগের আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আঞ্চলিক যোগাযোগ, বিদেশি বিনিয়োগ এবং গ্লোবাল আউট সোর্সিংয়ের একটি কেন্দ্রে পরিণত করেছে বাংলাদেশকে। দেশে এখন জনমিতিক লভ্যাংশকাল (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড) চলছে, যা ২০৬১ সাল পর্যন্ত থাকবে। সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে।
ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী বাংলাদেশকে অন্যতম বন্ধুপ্রতিম দেশ অভিহিত করে বলেন, পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
রিভা গাঙ্গুলী বাংলাদেশ ও ভারতের সাম্প্রতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশেষ করে রেল ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরেন। বাংলাদেশকে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে অবশ্যই যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের দিকে আরও জোর দিতে হবে বলে পরামর্শ দেন। ভারত বাংলাদেশের উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের এলএনজি, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন খাতে আরও বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।