নিজ ভূমিতে Miyanmar-এ ফিরতে চান Rohingya -রা

ঢাকা: দীর্ঘদিন অভিবাসী হয়ে থাকার পর এবার নিজ জন্মভূমি মায়ানমারে ফিরে যেতে যান রোহিঙ্গারা (rohingya)। এই অভিপ্রায়কে সামনে রেখে মায়ানমারের (miyanmar) রাখাইনে রোহিঙ্গা দমন-পীড়নের ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা (rohingya) ক্যাম্পে ‘হোপ ইজ হোম’ ক্যাম্পেইন পালন করেছে তারা।

এসময় তারা প্রত্যাবাসনের দাবিতে রোহিঙ্গা (rohingya) ক্যাম্পে সমাবেশ ও ভিক্ষোভ করেছে। এছাড়াও বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা (rohingya) সঙ্কটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে ঢাকার ১৪টি দূতাবাস ও হাইকমিশন।

অপরদিকে মায়ানমারের (miyanmar) রাজনৈতিক সংকট সমাধানে অবশ্যই রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। দেশটির সামরিক সরকারের প্রতি এমন আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।

জানা গেছে, ‘হোপ ইজ হোম’ ক্যাম্পেইন উপলক্ষে উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী, পালংখালী, থাইংখালীর তাজনিমারখোলাসহ ২০টি ক্যাম্প থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লোকজন খেলার মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন।

ক্যাম্পেইন সমাবেশে পুরুষদের পাশাপাশি রোহিঙ্গা (rohingya)নারী, শিশুরাও যোগ দেন। পোস্টার, প্ল্যাকার্ডে রোহিঙ্গারা (rohingya) মায়ানমারে ফিরে যাওয়ার দাবি তুলেন। রোহিঙ্গা (rohingya) সঙ্কটের ৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে গতকাল সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রোহিঙ্গা (rohingya) নেতা মাস্টার শোয়াইব, মাস্টার নুরুল আমিন, মাস্টার জুবায়ের, মোহাম্মদ ইউসুফ, মাস্টার কামাল প্রমুখ।

সমাবেশে গণহত্যা দিবসে স্বদেশে ফেরার আকুতি জানিয়ে বিশেষ মোনাজাত করেন রোহিঙ্গারা (rohingya)। তারা নিজ দেশে মর্যাদার সঙ্গে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। একইসঙ্গে তাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জানান তারা।

এদিকে, রোহিঙ্গা (rohingya) সঙ্কটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে ঢাকার ১৪টি দূতাবাস ও হাইকমিশন। রোহিঙ্গা (rohingya) সঙ্কটের ৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার যৌথ বিবৃতিতে দেশগুলো এই অঙ্গীকারের ঘোষণা দেয়। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ বছর পর আমরা ২০১৭ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের ভয়ঙ্কর ঘটনা স্মরণ করি।

যা প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গাকে (rohingya) মায়ানমার থেকে তাদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছিল। আমরা রোহিঙ্গাদের (rohingya) বাস্তুচ্যুত হওয়ার মুখে তাদের অবিশ্বাস্য সহনশীলতা এবং সাহসকে স্বীকার করি।

আমরা বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাদের উদারতা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অব্যাহত আশ্রয় দেওয়ার জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, আমরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছি। পরিস্থিতি অনুকূল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবাসন ও এই সঙ্কটের সমাধান চাই।

আমরা মায়ানমারের সেনাবাহিনীর দ্বারা মায়ানমারজুড়ে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদন উদ্বেগের সঙ্গে নোট করছি। আমরা মায়ানমারে দায়মুক্তির সংস্কৃতির অবসানের আহ্বান জানাই। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ভয়ঙ্কর কর্মকাণ্ডের জন্য আন্তর্জাতিক জবাবদিহিমূলক উদ্যোগের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি।

অপরদিকে, মায়ানমারের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে অবশ্যই রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। দেশটির সামরিক সরকারের প্রতি এমন আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। ২৫ আগস্ট বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢলের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত বুধবার এ কথা বলেন তিনি।

আবদুল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গা শিশু বলে, সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে নিজ মাতৃভূমি মায়ানমারে ফিরতে চাই আমরা। এদেশের মানুষ যে পরিমাণ আমাদের ভালোবাসা দিয়েছে, সেটা আমরা কোনো দিন ভুলতে পারব না। আমরা নিজ দেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে চাই। উম্মে সালমা বিবি নামে এক রোহিঙ্গা নারী বলেন, আমরা নিজ দেশে ফিরতে চাই। পশু-পাখির ঘর থাকলেও আমাদের নিজস্ব কোনো ঘর নেই।

রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার নুরুল আমিন বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। আমরা যুগযুগ ধরে এখানে অবস্থান করে বাংলাদেশের বোঝা হতে চাই না। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দাবি জানাই, যেন রোহিঙ্গাদের দ্রুত মায়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যেগ নেওয়া হয়।
রোহিঙ্গা মো. আমিন (৪৮) জানান, মায়ানমারের মংডুর দক্ষিণ বাহারছড়া গ্রামে আমি থাকতাম।

আমাকে একদিন বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় মায়ানমারের নাসাকা বাহিনী। পুরো পরিবারে নেমে আসে নির্যাতন, মানবিক দুর্যোগ। ধীরে ধীরে পুরো জনপদ যেন নির্যাতনের এক কারাগারে পরিণত হয়। ভয়ে পরিবার নিয়ে নদীপথে বাংলাদেশে চলে আসি। এরপর থেকে কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছি।

সেখানে আমি হেড মাঝির দায়িত্ব পালন করছি। ছোট্ট ত্রিপলের ছাউনিতে কীভাবে যে পাঁচটা বছর কেটে গেল টেরই পাইনি। মংডুতে মন পড়ে আছে। অবশ্যই সেখানে ফিরতে চাই। কিন্তু স্বাধীন নাগরিকের সুবিধা কে নিশ্চিত করবে? আমিনের মতো এমন প্রশ্ন এখন লাখো রোহিঙ্গা নাগরিকের।

রোহিঙ্গা নেতা মো. আনোয়ার বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ ইউএনএইচসিআরের প্রতি। আমাদের দুর্দিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয় দিয়েছেন। কক্সবাজারের মানুষ কষ্ট সইছে। আমরা আর এখানে থাকতে চাই না। দেশে ফিরতে চাই। কিন্তু ফেরার সেই পথ মসৃণ না হলে আমাদের সেখানে গিয়ে লাশ হতে হবে।

সমাবেশে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, ‘বৃহস্পতিবার গণহত্যা দিবসে পালন করেছি। কারণ এইদিনে মায়ানমার জান্ত সরকার আমাদের ‘গণহত্যা’ করেছে। আমরা রিফুজি হয়ে থাকত চাই না। এখন সোনালি আরকানে ফিরতে চাই।

জান্ত সরকার আমাদের নিধন করতে ৫ বার বিতাড়িত করেছে মায়ানমার থেকে। প্রতিবারই মানবিক বাংলাদেশ আামদের আশ্রয় দিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণকে ধন্যবাদ জানায়।

ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন, ক্যাম্পে শান্তিপূর্ণভাবে রোহিঙ্গাদের জেনোসাইড রিমেম্বার ডে’ কর্মসূচি শেষ হয়েছে। ক্যাম্পে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইন অঞ্চলের মংডু, বুচিথং ও রাসেথং জেলার রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতন শুরু করে।

সে সময় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল নামে। তখন সীমান্ত অতিক্রম করে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। ওই দিনটিকে স্মরণে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা ‘রোহিঙ্গা জেনোসাইড রিমেম্বার ডে’ পালন করে আসছে।

জানা গেছে, রোহিঙ্গা ‘গণহত্যা’র পাঁচ বছর পূর্তির উপলক্ষ্যে কক্সবাজারের আশ্রিত ১, ৩, ৫, ৭, ৯, ১২, ১৩, ৮, ১৯, ২০, নম্বর ক্যাম্পসহ ২২ জায়গায় গতকাল বৃহস্পতিবার একসঙ্গে পৃথকভাবে দিবসটি পালন করেন।

তারা সেখানে মায়ানমারে গণহত্যার বিচার, দ্রুত প্রত্যাবাসনসহ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো-মায়ানমারে পার্লামেন্টে রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি, সীমিত সময় রাখা যাবে মায়ানমার ট্রানজিট ক্যাম্পে, সকল রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করতে হবে, সেফজোন, নিজস্ব সহায়-সম্বল ফেরত, প্রত্যাবাসনের সময় বেঁধে দেওয়া, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন, এক বারে গ্রামের সব মানুষকে প্রত্যাবাসন করা, রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী হিসেবে উত্থাপন না করা।

এছাড়া প্রত্যাবাসনে প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ওআইসি, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, বাংলাদেশসহ দাতা সংস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করা।

একদিকে রোহিঙ্গারা তুচ্ছ ঘটনায় খুনোখুনি ছাড়াও মাদকের ব্যবসা, অপহরণ, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। গত পাঁচ বছরে ক্যাম্পে ১২০টির বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। অপরদিকে রোহিঙ্গাদের ঠাঁই দিতে গিয়ে প্রায় আট হাজার একরের বেশি বনভূমি ধ্বংস হয়েছে। বিপর্যয় ঘটেছে পরিবেশের।

এ কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে পাহাড় ধসের ঘটনাও। এতে প্রাণহানিও ঘটছে প্রতিবছর।থাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রহিম উল্লাহ বলেন, আমার জন্মস্থান মায়ানমার, বাপ দাদার কবর সেখানে। শরণার্থী জীবন আর ভালো লাগছে না। নিজ দেশে ফিরতে মন চায়। জন্মভূমিতে মরতে চাই।

দুঃখজনক হলেও সত্য, কথাগুলো বেশিরভাগ রোহিঙ্গাকে আমরা বোঝাতে পারি না। তবে নিজ দেশের প্রতি বিতৃষ্ণায় থাকা সাধারণ রোহিঙ্গাদের একটি অংশের সাদামাটা চিন্তা-ধারণা থেকেই বাংলাদেশে থাকতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের এ অংশটির ধারণা, তারা বাংলাদেশে থাকলে বিনা পরিশ্রমে বছরের পর বছর ঘরে বসে খাদ্য, চিকিৎসা থেকে মানবিক সব সাহায্য পাবে। মায়ানমার ফিরে গেলে অনেকের ভাগ্যে হয়তো তা জুটবে না।
রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শুধু আমার ইউনিয়নেই ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বাস। তাদের কারণে স্থানীয়রা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।

রোহিঙ্গারা তুচ্ছ ঘটনায় দলবেঁধে বাড়ি ঘেরাও করে স্থানীয়দের তুলে নিয়ে মাধরধর এবং অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে। আবার রোহিঙ্গা ঢলের পর ইয়াবার বিস্তার বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘ পাঁচ বছরেও প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় রোহিঙ্গারাও তাদের যে একটি দেশ আছে তা ভুলতে বসেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত থানায় ১ হাজার ৯০৮টি মামলা হয়েছে। আর এ সময়ের মধ্যে খুনের ঘটনা ঘটেছে ৯৯টি।

তিনি বলেন, খুনোখুনি, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, মানব পাচার, অগ্নিসংযোগসহ ১৪ ধরনের অপরাধে কারণে এসব মামলা হয়েছে। যদিও বিভিন্ন সংস্থা ও স্থানীয় তথ্যমতে অন্ততপক্ষে ১২০টির বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই আমাদের শেষ লক্ষ্য। যখন তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে তখনই চুড়ান্ত সাফল্য আসবে।

এ প্রক্রিয়া চলমান, বিষয়টি পরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় দেখছে। সব ঠিক করে যখন দিন ধার্য করা হবে তখনই সকল লজিস্টক দিয়ে রোহিঙ্গাদের পাঠানোর দায়িত্ব আমার। এরপরও প্রত্যাবসন শুরু না হলেও আপাতত ক্যাম্পে চাপ কমাতে একলাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রায় ৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সরকারকে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। মায়ানমারের সরকার অভ্যন্তরীণভাবে দুর্বল। বাংলাদেশ সরকার, মিডিয়া ও নাগরিকদের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার চাপটা বজায় রাখতে হবে। যাতে তা আলোচনার মধ্যে হারিয়ে না যায়। দেশি-বিদেশি, দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক-সব ভাবেই আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, গত পাঁচ বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরাতে না পারার হতাশার কথা জানিয়েছেন। তার ভাষায়, মায়ানমারের নাগরিকদের এখনই নিজ দেশে ফেরত পাঠানো প্রয়োজন। কারণ, তারা নিজ দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে মায়ানমারের নাগরিকদের এখনই ফেরত পাঠানো প্রয়োজন।

হাবিবুর রহমান

Recent Posts

বাংলাদেশে হিটস্ট্রোকে উপজেলা মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান প্রার্থীসহ  ৪ মৃত্যু, স্থগিত নির্বাচন

ঢাকা: বাংলাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে অতি গরমের ফলে হিটস্ট্রোকে ৩৭ জন মারা গিয়েছেন।…

1 week ago

বাংলাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহে রেললাইন বেঁকে ট্রেন চলাচল বিঘ্ন

ঢাকা: বাংলাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহে রেললাইন বেঁকে ট্রেন চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। যাকে রেলের ভাষায় বলা হয়…

1 week ago

সাপ্তাহিক রাশিফল

মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য সপ্তাহটি ভালোই হতে চলেছে। অর্থ উপার্জন হবে। সমাজে সম্মান বাড়বে।…

1 week ago

বাংলাদেশে তাপদাহে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুনঈশ্বরদীতে রেললাইনের পাত বেঁকে গেছে

ঢাকা: বাংলাদেশে চলতি বছর সীমাহীন তাপদাহে মানুষের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশে সরবোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে…

1 week ago

আপনার আজকের দিনটি

সিংহ: আজকের দিনটি আপনার জন্য নতুন কিছু শেখার দিন হবে। ভাগ্যের দিক থেকে দিনটি ভালোই।…

1 week ago

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

ঢাকা: বাংলাদেশে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম (২৫)…

1 week ago