প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী নিরাপদে প্রত্যাবাসনের বিষয় নিয়ে চতুর্থবার বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ও মায়ানমার। আগামী ৩ মে মায়ানমারের নেপিডোতে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজি)-র মধ্যে বৈঠকটি হবে। একথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি জানান, “ আশিয়ানের তত্ত্বাবধানে মায়ানমারের অভ্যন্তরে একটি নিরাপদ অঞ্চল ‘আশিয়ান প্লাস’ তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ একটি প্রস্তাব দিয়েছে। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরে নিরাপদে আছে কিনা তাতে নজরদারি চালাতে পারবে আশিয়ানের সদস্য দেশগুলি। আসন্ন জেডব্লিউজি বৈঠকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হবে।”
মায়ানমার তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নেবে বলে বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী ডঃ এ কে আবদুল মোমেন। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই যে রোহিঙ্গাদের শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হবে বলে আশ্বস্ত করেছে মায়ানমার। তবে এখনও পর্যন্ত সেই কাজটি শুরু করা হয়নি।
যেহেতু মায়ানমার এই সংকট সৃষ্টি করেছে, তাই তাদের সহযোগিতা ছাড়া এই সমস্যার সমাধান করা খুব কঠিন হবে বলেও মনে করছেন বিদেশমন্ত্রী ডঃ এ কে আবদুল মোমেন।
বাংলাদেশ ও মায়ানমার রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন কাজ শুরুর লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এরপর ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করে দুই দেশ। এরপর থেকে রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরাতে মোট তিন বার বৈঠকে বসেছে তারা।