‘হিযবুত তাহরীরে’র বিদ্রোহী পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশে ‘লাল সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ি, হিযবুত জুনিওর মিলিটারি অফিসারদের সঙ্গে রীতিমতো পরিকল্পনা করে বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ‘আওয়ামি লিগে’র বরিষ্ঠ নেতাদের আক্রমণের লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে। ‘রেডিকেল ইসলামিক সংগঠন’ হিযবুত তাহরীরের দুষ্ট প্রচেষ্টা যেন বাংলাদেশের কোনোরকম ক্ষতি করতে না পারে, সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেই ‘লাল সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় সংঘটিত হওয়া সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবাদে হিযবুত ছাত্রদের অবিরাম উত্তেজিত করার চেষ্টাও চালায়।
বাংলাদেশের উচ্চস্তরের অফিসিয়াল সুত্রের মতে, জুনিওর সেকশন অফিসারের বহু সাপোর্টার রয়েছে হ্যবুত তাহিরে। দলের বরিষ্ঠ নেতাদের আক্রমণের লক্ষ্য হিসেবে বেছে নেবার পিছনে তাদের পরিকল্পনা কাজ করছে।
সম্প্রতি একটি যাত্রী বিমান অপহরণের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে সতর্ক ক্রর জন্যে। যদিও এখনো কোন সম্ভাবনা নিতে পারছেন না বলেই ‘নর্থইস্টনাও’ কে জানিনো হয়েছে। সাম্প্রতিক সাধারণ নির্বাচনের আগে দল যখন প্রচার পত্র বিলি করছে, পোস্টার লাগাচ্ছে, এমনকি ঢাকায় সমদল নিয়ে বেরিয়েছে, সে সময়ও এই নিষিদ্ধ দল প্রচার ছত্রভঙ্গ করতে চায়। সমস্ত পোস্টারগুলিতে পরিবর্তনের দাবিও জানায়। এমনকি হিযবুত বাংলাদেশে আওয়ামি অপসারণ ও খিলাফত রশিদার অধীনে জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দাবি জানায়। ঢাকার শাহবাগে প্রতিবাদি মিছিল করেছিল হিযবুত তাহরীরের ৩০ জন সদস্য । গোপনে নিজেদের সংগঠন মজবুত করার চেষ্টা করছে এই নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যরা। আমরা তাদের কাজকর্মের ওপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছি। জানিয়েছেন বাংলাদেশের ‘কাউণ্টার টেরোরিসম’ এবং ‘সিটিটিসি’ র কমিশনার মহিবুল ইসলাম খান।
ইসলাম ভাবাপন্ন টাকি-আল-দিন-আল নভানি ‘হিযবুত তাহরী’র প্রতিষ্ঠা করেন জেরুজালেমে ১৯৫৩ সালে ইজরায়েল সৃষ্টির ৫ বছর পর। এই সংগঠন বাংলাদেশে লাগু হয় ২০০০ সালে, নেতৃত্বে ছীলেন সইদঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম মোলার নেতৃত্বে নাসিমুল ও শাহনেওয়াজ, এই দুই সদস্যকে নিয়ে।
বাংলাদেশের প্রদত্ত তথ্য মতে , ২০১৫ বা এখন অবধি ৫০ হিযাবুতকে এরেস্ট করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ কলেজের ছাত্র। কারণ হিযবুতের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের মেধাবী ছাত্রদের নিজের দলে যোগ দেওয়ানো। যাতে করে তাদের দল আধুনিক টেকনলজি তথা অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে দলকে সাহায্য করতে পারে।