বাংলাদেশের পদ্মানদীর উপর সাড়ে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এই পদ্মাসেতু জুড়বে এপার-ওপার বাংলাকে।
এই পদ্মাসেতু নির্মাণ হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বরিশাল, খুলনা, যশোর, ফরিদপুর অঞ্চলের মানুষ উপকৃত তো হবেন বটেই একই সঙ্গে অতি সহজে মানুষ কলকাতা সহ ভারতের যে কোনও অঞ্চলে যাতায়াত করতে পারবেন।
ঢাকার অদূরে পাটুরিয়ায় ফেরি পারের জন্য ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় অপচয় আর হবে না।
ইতিমধ্যে, ১৪ ও ১৫ নম্বর পিয়ারের উপর ১৩তম স্প্যান বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে এখন পদ্মা সেতুর ১ হাজার ৯৫০ মিটার অর্থাৎ দুই কিলোমিটার সেতু দৃশ্যমান হয়েছে।
পদ্মা সেতুর প্রকৌশল সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুতে ২৯৪ পাইলের মধ্যে ২৬২টি পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৩২টি পাইল ড্রাইভের কাজ চলছে। ৪২টি পিলারের মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে ২৫টি পিলারের। বাকি ১৭টি পিলারের কাজ চলছে। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বসানো হয়েছে ১৩টি স্প্যান। আরও ২৮টি স্প্যান বসবে।
ইংরেজি ‘ভি’ উলটো করে দেখলে যেমন দেখায় ঠিক তেমন আকৃতিতেই নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ পদ্মা সেতুর পিলার।
পুরো প্রকল্পের জন্য এরকম পিলার তৈরি করা হবে মোট ৪২টি। তিন মিটার পরিধির একেকটি পাইল ১২২ মিটার পদ্মার তলদেশে গিয়ে থামছে।
ছয়টি পাইল ঘিরে দাঁড়িয়ে যাবে একটি পিলার। যে পিলারের উপর স্প্যান বসালেই হয়ে যাবে সেতু।
এখন পিলার গড়ে তোলার জন্য চলছে মাটি উত্তোলনের কাজ।