ঐতিহ্যবাহী পুরনো ঢাকা হতে চলেছে মডেল ঢাকা। সাতটি স্থানকে মডেল হিসেবে ধরে আরবান রি–ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে পুরাতন সমস্ত ভবন ভেঙে ফেলে নতুন ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ নাগরিকের সার্বিক উন্নতির প্রতি লক্ষ্য রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের সাধারণ সংস্কৃতি থেকে পুরান ঢাকা বা পুরোনো ঢাকার সংস্কৃতি অনেকটাই ভিন্ন। তবে আধুনিকতার সঙ্গে সবকিছুকেই খাপ খাইয়ে নিতে হয়। নয়ত পিছিয়ে যেতে হবে ।
মডেল নির্বাচন করা সম্ভাব্য এলাকাগুলো হচ্ছে পুরান ঢাকার ইসলামবাগ, চকবাজার, মৌলভীবাজার, বঙ্গশাল, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীরচর এবং লালবাগ। ইতিমধ্যে এক খসড়াও তৈরি করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। তবে এলাকার মানুষজনের সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে বলে সূত্রে জানা গেছে।
পুরনো ঢাকাকে উন্নত বিশ্বের আদলে রূপান্তরিত করা হবে নতুন মডেল শহরে। এর জন্যে বাংলাদেশ সরকার পুরান ঢাকার সম্ভাব্য সাতটি স্থানকে সাত সেক্টরে ভাগ করে জাপান, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া এবং ভারতের মুম্বাই এবং গুজরাটের আদলে নির্মাণ করার জন্যে পুনঃনগর উন্নয়নে কাজ করবে বলেই জানিয়েছেন।
রাজউক সূত্র থেকে জানানো হয়েছে, নগর পুনঃউন্নয়ন প্রকল্পের জন্যে একটি অফিস থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে। এই প্রকল্প গ্রহণের জন্যে পাচ সদস্যের এক কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সকল সদস্যরা পুরান ঢাকার ভিন্ন ভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ, ডিটেইল্ডস এরিয়া প্ল্যান (২০১৬–২০৩৫) প্রকল্পের সার্ভের ডাটাবেজ ভিত্তিতে সাতটি প্রকল্প এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে।
এলাকাগুলোর কত একর করে জমি নির্ধারণ করা হয়েছে, আমরা দেখে নেব-
প্রথমত ইসলামবাগের ১৪.৯৪ একর জমি, চকবাজার এলাকায় ১.৪৭৪ একর জমি, ত্ররীতিয় মৌলভীবাজার এলাকা ০. ৬০ একর জমি, বংশালে ১২.৭১ একর, হাজারীবাগে ১১১ শুন্য দশমিক ৩ একর, কামরাঙ্গীর চরে প্রায় ৩৩.৭৬৩ একর জমি, লালবাগে ৩২.৭২ একর জমিতে নতুন প্রকল্প বাস্তবিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণে মেয়র সাঈন খোকন বলেছেন, পুরান ঢাকাবাসী বর্তমানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ জরুরি। তবে এলাকা বসবাসকারীদের যেন কোন অসুবিধা না হয়, সেজন্যে আগে কোথাও তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করে নিতে হবে,এ কথাও জানান তিনি।
নগর উন্নয়ন প্রকল্প সম্বন্ধে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের মত দিয়েছেন, তিনি বলেন, নাগরিকদের একটা নতুন জীবনের আস্বাদ দেবার জন্যেই এই উন্নয়ন করা হচ্ছে। পুনঃউন্নয়ন প্রকল্পে বিভিন্ন রকম সু ব্যবস্থা থাকবে। পার্ক, খেলার মাঠ, জলাধার, খোলা মেলা মাঠ প্রভৃতি।