বাংলাদেশ সত্যিই এগিয়ে যাচ্ছে। নারী-পুরুষের সমতা একটু একটু করে ফিরে আসছে দেশে।
হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, এখন থেকে মুসলমানদের বিয়ের কাবিননামা হিসেবে পরিচিত রেজিস্ট্রেশন ফর্মের ৫ নং কলামে ‘কুমারি’ শব্দ বাদ দিতে হবে। এই পরিবর্তে প্রতিস্থাপন করতে হবে ‘অবিবাহিত’ শব্দ।
মুসলিম বিয়ে ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা, ২০০৯-এর বিধি ২৮(১)(ক) অনুযায়ী বিবাহ রেজিস্ট্রি ফর্মের ৫ নম্বর কলামে মেয়েদের উল্লেখ করতে হয় তাঁরা কু্মারি, বিধবা নাকি তালাকপ্রাপ্তা। কিন্তু এগুলো মেয়েদের মর্যাদা, গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ করে। তাছাড়া, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী এগুলো থাকা বাধ্যতামূলক নয় এবং মুসলিম শরীয়তে বিয়ের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো শর্ত নেই।
২৫ আগস্ট এই বিষয়ে রুল জারি করে বাংলাদেশ হাইকোর্ট।
বিয়ের কাবিননামায় শুধু যে মেয়েদের ক্ষেত্রেই পরিবর্তন এসেছে তা নয়, বরের ক্ষেত্রেও ফর্মে ৪ নং কলামে নতুন করে যুক্ত করতে হবে তিনি বিবাহিত, বিপত্নীক নাকি তালাকপ্রাপ্ত।
কারণ পুরুষের ক্ষেত্রে নিজের পরিচয় উল্লেখ না করার অর্থ হল নারীকে অপমান করা। যা আর হতে দেয়া যায় না।
কাবিননামার ফর্মের (বাংলাদেশ ফর্ম নম্বর-১৬০০ ও ১৬০১) ৫ নং নম্বর কলাম বৈষম্যমূলক ও নারীদের জন্যে অপমানজনক উল্লেখ করে ৫ বছর পূর্বে, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনে বলা হয়েছিল, একবিংশ শতাব্দীতে এসেও একটি মেয়ে কুমারি কি না, সে বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা অসম্মানজনক ও বেআআইনি। সেখানে নারী-পুরুষের সমতা থাকে না।
এরপরই রবিবার আদালত রুল জারি করেন হাইকোর্ট।