বাংলাদেশ ভুলে গেলেও মুক্তমনা লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে ভোলেনি নিউইয়র্ক।
৫ বছর আগে ২০১৫ সালে ২৬ ফেব্রুয়ারি দিনটিতে বাংলাদেশে দুবৃত্তের আক্রমণে খুন হতে হয়েছিল মুক্তমনের এই লেখককে।
এ দিনটিকে স্মরণে রেখে অভিজিৎ রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
অনুষ্ঠান পরিচালনার কাজে যুক্ত ছিলেন গোপাল স্যানাল।
শোকসভায় বক্তৃতা রেখেছেন সাংবাদিক নিনি ওয়াহেদ, অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম, সংস্কৃতিকর্মী ও অ্যাক্টিভিস্ট আল-আমিন বাবু, সাংবাদিক মুজাহিদ আনসারী ও হাসানুজ্জামান সাকী, যুক্তরাষ্ট্র জাসদের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম জিকু প্রমুখ।
অভিজিৎ রায় খুনের সুষ্ঠু-সঠিক এবং সৎ বিচারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখযোগ্য যে, ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় একুশের বইমেলা থেকে ফেরার পথে জঙ্গি হামলা হয় অভিজিৎ রায়ের ওপর। ঘটনায় স্ত্রী রাফিদা আহমেদ। এ সময় তিনিও গুরুতর আহত হন।
রাত পৌনে ৯টার দিকে দুই দুষ্কৃতি হঠাৎ চাপাতি দিয়ে পেছন থেকে অভিজিৎকে কোপানো আরম্ভ করে। আক্রমণ থেকে তাঁর স্ত্রী তাঁকে রক্ষা করতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাঁকেও কোপ দেয়। এরপর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার আগে ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একইভাবে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিলেন লেখক হুমায়ুন আজাদ।
এবং একইরকমভাবে মুক্তমনা লেখক তসলিমা নাসরিনও দেশ থেকে নির্বাসিত দুই যুগেরও বেশি কাল ধরে।
মাতৃহারা, দেশহারানোর বেদনা যিনি দেশ হারান তিনিই বোঝেন।
বাংলাদেশকে মুক্ত এবং মানসিকভাবে স্বাধীন করতে হলে মৌলবাদ; সন্ত্রাসকে উপড়ে ফেলা ছাড়া আর অন্য কোন পথ নেই।
সমাজের মানুষ শান্তি কামনা করে, যুদ্ধ নয়। এবং অবশ্যই ধর্মের যুদ্ধ নয়।