বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁওয়ে চলছে সংখ্যালঘুদের জমি দখল। এই ঘটনায় প্রবল চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে এলাকায়। সংখ্যালঘুরা হয়ে রয়েছেন ত্রস্ত।
জানা গেছে, সুমন বাবুকে বহুদিন ধরে এলাকার কিছু লোক জমি দখলের জন্যে বরাবর হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
উল্লেখ্য, ২ মে, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকায় আর এম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পাশে সুমন চন্দ্র রায়ের নিজস্ব ফুলের দোকান এবং ঘর, সঙ্গে রাধাকৃষ্ণ মূর্তিও ভাংচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় ফুলের দোকানের মালিক রঘুনাথপুর এলাকার জিতেন চন্দ্র রায়ের পুত্র সুমন চন্দ্র রায় ৪ মে শুক্রবার পীরগঞ্জ থানায় ভাংচুর করা ৫ দুষ্কৃতির নামে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ০৩ ।
ঘটনা ঘটে দুপুর ১২ টা নাগাদ। সুমন রায় তাঁর ফুলের দোকান উদ্বোধন কালে একই এলাকার ৫ দুষ্কৃতি আজাহারুল ইসলাম, লিপি বেগম, মোজাহারুল ইসলাম, আফ্লাতুন নেছা, করিমুল হক মোটা লাঠি নিয়ে এসে দোকানে প্রবেশ করে প্রতিমা ভাংচুরের সঙ্গে সঙ্গে দোকানের জিনিস লুট করে পালায়।
জানা গেছে, পিরগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুরে সুমন রায় নামক এক সংখ্যালঘু ফুল ব্যবসায়ীর জমি দখল করার অভিযোগে ওই পরিবারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিগত ৭ এপ্রিল তারিখে ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেন তাঁরা।
সাংবাদিক সম্মেলনে সুমন জানিয়েছেন যে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বসত ভিটায় বাস করছেন, দলিল রয়েছে তাঁর কাছে। তিনি লিখিত অভিযোগে আরো জানিয়েছেন, তাঁর সোয়া ১ শতক জমি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে লিপি আক্তার, খয়রাত আলি এবং মোজাহারুল ইসলাম বহুদিন ধরে তাঁকে জ্বালাতন করছেন। তাছাড়া সুমন রায়ের বিরুদ্ধে ৩ টি মিথ্যা মামলা করা হয়েছে পীরগঞ্জ থানায় । শুধু তাই নয়, জমি না দিলে, প্রাণে মারারও হুমকি দিয়েছেন তাঁরা, সেই সঙ্গে রয়েছে ৫ লাখ টাকা আদায়ের জোর–জবরদস্তি।
নির্যাতনের চরম অবস্থায় সুমন রায় ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহা, মনিরুজ্জামান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পীরগঞ্জ থানা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, হিন্দু বৌদ্ধ, ক্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার বরাবরে লিখিত অভি্যোগ দায়ের করেছেন ।