ঢাকা: ভারতীয় ঋণে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে Khulna-mongla রেললাইন নির্মাণ কাজ। গেল দু’বছর করোনার ঢেউয়ে দরুণ কাজে বেশ খানিকটা ভাটা পড়লেও আবারও গতি ফিরেছে প্রকল্পের কাজে।
ইতিমধ্যে রেললাইন, টেলিকমিউনিকেশন সিগন্যালিং ও রূপসা নদীতে রেলসেতু নির্মাণসহ প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯০ শতাংশ। Padma সেতুর মতো নতুন করে স্বপ্ন দেখছে দক্ষিণ-পশ্চিামঞ্চলের মানুষ।
এই প্রকল্প পুরোপুরি বদলে দিতে পারে এই জনপদকে।২০১৬ সালে শুরু হওয়া কয়েকদফা বাড়িয়ে প্রাক্কলিত ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকায়।
সে হিসাবে প্রথম প্রাক্কলিত ব্যয়ের তুলনায় বর্তমান প্রাক্কলিত ব্যয় হয়েছে আড়াইগুণ। রেলসেতু তৈরির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন ম্যানেজার সুব্রত জানা জানান, ভারত সরকারের রেয়াতযোগ্য লাইন অফ ক্রেডিট (এলওসি) এর অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে এই প্রকল্প।
ভারতের প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনালের প্রজেক্ট ম্যানেজার বলরাম দে মিডিয়াকে বলেন, এ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পে ছোট বড় মিলিয়ে ৩১টি ব্রিজ ও ১০৮টি কালভার্ট নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
খুলনার রূপসা নদীর ওপর রেল সেতুর নির্মাণ কাজও ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। পাইলিংয়ের কাজ প্রায় সম্পন্ন। এরপর মাত্র দুটি স্প্যান জোড়া লাগবে। এছাড়া এখনো ৯টি ভেকুলার আন্ডারপাসের কাজ বাকি আছে।রেল সেতুটি হস্তান্তরের জন্য রেলওয়ে মন্ত্রককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোংলা বন্দর এক নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে। রেল যোগাযোগ এই বন্দরকে যুগোপযোগী করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নতুন মাত্রা সংযোজন করেছে।
স্থল ও নৌপথ ছাড়াও বিকল্প রুট থাকায় মোংলা বন্দর তথা এ অঞ্চলের মানুষের জন্য এই প্রকল্প এক নতুন আশার হাতছানি। প্রকল্প ম্যানেজার অমরোতোশ কুমার ঝা প্রকল্পের নানা বিষয় তুলে ধরে জানান, খরস্রোতা রূপসা নদীতে স্প্যান স্থাপন ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।
আশা করছি আগামী ১শ বছরেও এই সেতুর কিছুই হবে না। নদী পথে শুধু ভারত নয় নেপাল ও ভুটান থেকে বিভিন্ন পণ্য mongla হয়ে এই রেল সেতু হয়ে যাতায়াত করবে।
খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পটি রূপসা সেতু বাদেও খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত রেললাইন এবং টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিংয়েল কাজ চলমান রয়েছে। ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে ৬৫ কিলোমিটার রেলপথ বসেছে। খুলনা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক চৌধুরী মিনহাজ-উজ-জামান সজল বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে মোংলা বন্দরের গতি আরও সঞ্চার হবে।
Mongla বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে উত্তর অঞ্চলের পঞ্চগড় ও বাংলাবান্ধা হয়ে ভারতের শিলিগুড়ির রেল যোগাযোগ। ফলে কম খরচে ভারত, নেপাল ও ভুটানে মালামাল পরিবহন সহজ হবে। এতে করে আমদানি-রফতানি বৃদ্ধির সঙ্গে কন্টেনার সার্ভিসও বাড়বে।
রেলওয়ে বিভাগের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার জানান, মোংলা-খুলনা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে যে কোনদিন চালু করা হবে।
এদিকে বিপত্তি দেখা দিয়েছে সিগন্যালিং কাজের ঠিকাদার নিয়ে। দরে না পোষায় মিলছে না আন্তর্জাতিক ঠিকাদার। এ কাজে প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৫৭ শতাংশের বেশি দাবি করছে তারা। তাই আন্তর্জাতিক ঠিকাদার বাদ দিয়ে দেশি ঠিকাদার দিয়েই সিগন্যালিং সম্পন্ন করার পথে হাঁটছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ডিসেম্বরেই শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মেয়াদ আরও ছয় মাস অর্থাৎ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, মোংলা বন্দরের গতি আরও সঞ্চার হবে।
মোংলা বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড় ও বাংলাবান্ধা হয়ে ভারতে শিলিগুড়ির রেল যোগাযোগ। ফলে কম খরচে ভারত, নেপাল ও ভুটানের মালামাল পরিবহণ সহজ হবে।